হেলাল শেখ ,আশুলিয়া :
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যুবসমাজকে নষ্ট করে যেখানে-সেখানে বসেছে মাদকের স্পট।
বিভিন্ন মাদকের টাকা জোগার করতে মাদক সেবনকারীরা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, অপহরণ,
চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে। এতে বাড়ছে (ক্রাইম)। এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের কাছে
জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জনমনে।
রবিবার ৮ অক্টোবর ২০১৭ সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ারর জামগড়ায় রূপায়ন আবাসন ১ এর সীমানার
ভিতরে কিছু যুবক ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করছে বলে স্থানীয়রা জানান। এরপর কবস্থান ও ভাদাইল এবং বাগবাড়ির
কিছু এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদকের আড্ডা। সেই সাথে জি এস পাবলিক স্কুলের পাশের মাঠে এবং ৪ রাস্তা
মোড়ে রয়েছে মাদকের স্পট, বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে এ এলাকায়। সুত্র জানায়, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের
ছত্রছায়ায় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি এসব মাদকের ব্যবসা করছে। জানা গেছে, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই লাশ উদ্ধার করছেন, এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতেন বিশেষ অভিযান
চলছে বলে পুলিশ জানিযেছেন।
উক্ত এলাকায় এক নারীর ৩৮ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ। গত ০৬-০৯- ১৭ ইং তারিখে জামগড়ার
ভাদাইল (শাহজাহান) মার্কেটের পাশে দিনে দুপুরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় আয়নাল হোসেন (৪৫) নামের
এক বাড়িওয়ালাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তার দাবি। গত ০৯/
০৯/২০১৭ দুপুর দেড়টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট বগাবাড়ি এলাকার আবুল মাঝির ছেলে আবুল কামাল (২৮)
কর্তৃক ৬ বছরের এক শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে জোড়পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা। ছয়
বছর বয়সের মেয়েটির বাবা মোহন মিয়া এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্তৃক
মারপিট করে বলে সে জানান। সে বলেন, আহত অবস্থায় তার মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন, এরপর তার ভাড়া বাসায় এলে তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে
বাধ্য করেছে বলে স্থানীয়রা বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। এ ঘটনার ২ দিন পর থেকেই ধর্ষিতার বাবা মোমিন নিখোঁজ
এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্নঃ সে কোথায় আছে? বেঁচে আছেন? না কি হত্যা করা
হয়েছে? এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে॥ অনেকেই বলছেন,মোহন ও তার পরিবার সুবিচার পেলো না।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধর্ষণকারী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। এ
ব্যাপারে ধর্ষক কামাল এর মা আরোজা বেগম বলেন,আমি কিছুই জানিনা। কারণ আমার মেয়ের ডেলিভারি হয়েছে-
হাসপাতালে ছিলাম। এরকম অনেক ঘটনা ঘটলেও ভোক্তভুগীরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে
তারা জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোহনের সন্ধান কেউ দিতে পারেননি।
উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, অপরাধী সে যেই হোক না কেন-তাকে
গ্রেফতার করা হবে। আর মাদকের ব্যাপারে কারো কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কারো বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে-
সে বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।