বাংলার প্রতিদিন .কমঃ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ ঘোষণা দেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ঘোষণায় বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরীসহ দেশব্যাপী বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ করা হলো।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, কুমিল্লার জেলা জজ আদালতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, পরিকল্পিতভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে একক নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কায়েম নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার তা নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশবাসী জানে-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তিনি এখনো লন্ডনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা শেষে তিনি যথাসময়ে দেশে ফিরবেন। তাঁর ফেরার সময়ও প্রায় আসন্ন। আর ঠিক এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলক। এর মাধ্যমে দেশে সরকারের সৃষ্ট বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতিকে আরো তীব্রতর করা হলো। বিএনপি চেয়ারপারসনকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে সরকারের এহেন প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’
আজ দুপুরে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক জেসমিন বেগম বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নোয়াবাজার এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের নোয়াবাজার এলাকায় ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। আহত হন আরো ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে ওই থানায় মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়।