বাংলার প্রতিদিন ডেস্কঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা’ বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শেষে বেরিয়ে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে কাদের সিদ্দিকী এ দাবি জানান।
‘জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু কি গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন?’, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কাদের সিদ্দিকী। এ সময় তিনি সিইসির বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
এর আগে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কাদের সিদ্দিকীর দলের ২০ জ্যেষ্ঠ নেতা এতে অংশ নেন।
সংলাপ শেষে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলায় সিইসির কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। সিইসি বলেছেন, বিএনপির ওয়েবসাইট থেকে তিনি এ তথ্য পেয়েছেন। এর জবাবে আমি বলেছি, এই তথ্য কি যাচাই-বাছাই করেছেন? আর এই বক্তব্য দেওয়ার আগে কি অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন?’
‘সিইসি জবাব দিয়েছেন, অন্য কমিশনারদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। এরপর আমি জানতে চেয়েছি, জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু কি গণগন্ত্র হত্যা করেছিলেন? এসব বলা সিইসির ঠিক হয়নি। তাই আমরা মতবিনিময় সভা বয়কট করলাম।’
এর আগের দিন রোববার সিইসি বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভালো ভালো কাজ করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।
বৈঠকে ২০টি প্রস্তাব উপস্থাপন করে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ। তাঁদের প্রতিনিধিদের সবাই বক্তব্যও দেন।
বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালু্দ্দীন আহমদ। পরে কাদের সিদ্দিকী বক্তব্য শুরু করেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। পরবর্তী সময়ে ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় শুরু হয়।
১৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিকেল ৩টায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে ২২ অক্টোবর বেলা ১১টায় অরাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় নারী নেত্রী এবং ২৪ অক্টোবর ১১টায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন।