অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পাওয়া সাত শিশু ও এক বৃদ্ধার ঠিকানা বা আত্মীয়স্বজনের সন্ধান চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার ডিএমপির ওয়েবসাইটে আটজনের ছবি প্রকাশ করে তাদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
তারা হলো রত্না (৯), সুমাইয়া (১৪), মো. রাকিব (৭), সুশান্ত (৭), সাদিয়া আক্তার মিম (১১), মমতাজ (৬০), ঊর্মি (৩) ও ফারিয়া (১১)।
১. রত্না সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার টেকপাড়া মানিকদিয়া এলাকায় তাকে পাওয়া যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ রত্না জানায়, সে ঢাকায় এক বাসায় কাজ করত। তার বাড়ি খুলনায়।
২. গত ১০ অক্টোবর মালিক জামাল নামের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সুমাইয়াকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর সে আনসার সদস্যদের কাছে আশ্রয় নেয়। তারা তাকে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়।
৩. গত ৮ অক্টোবর পথচারীরা রাকিবকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় রাস্তার ওপর কান্নাকাটি করতে দেখে থানায় হস্তান্তর করে। তার বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি।
৪. ৮ অক্টোবর কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু হানিফ অভিসার সিনেমা হলের সামনে সুশান্তকে পান। শিশুটির বাড়ি সুনামগঞ্জে।
৫. নারিন্দা রোডে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে সাদিয়া আক্তার মিমকে কান্নাকাটি করতে দেখেন সুমন চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি মাগুরায় বলে জানায়।
৬. ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকার নিকুঞ্জ-২ এলাকায় মমতাজ ও তাঁর নাতি ঊর্মিকে কান্নাকাটি করতে দেখেন মো. আশিক নামের এক ব্যক্তি। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করেন। তাদের বাড়ি পিরোজপুর।
৭. শিশু ঊর্মিকে মমতাজের সঙ্গে পাওয়া যায়।
৮. গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফারিয়াকে (১১) উদ্ধার করে সবুজবাগ থানায় নেওয়া হয়। সে জানায়, তার মা ও বাবা আলাদা থাকেন। সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিতে আসবেন না বলে তাকে জানান।
কোনো ব্যক্তি সাত শিশু ও এক নারীর ঠিকানা বা আত্মীয়স্বজনের খোঁজ জেনে থাকলে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে ডিএমপি। যোগাযোগ : ডিউটি অফিসার-মোবাইল নম্বর ০১৭৪৫-৭৭৪৪৮৭, টেলিফোন নম্বর ০২৯১১০৮৫।