সরকার আজ বুধবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই নেতা।
তিন মাসেরও বেশি সময় পর আজ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিকেলে তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মী।
এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী আসছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে।
নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে যাওয়া ঠেকাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণপরিবহনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই তো মাত্র কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসলেন, সেখানে একটা সংবর্ধনা দেওয়া হলো। কোনো বাধা নাই। কিন্তু আমাদের মিছিলে বাধা, মিটিংয়ে বাধা, রাস্তায় দাঁড়াতে বাধা। অর্থাৎ দলবদ্ধভাবে কোথাও দাঁড়ানোই যাবে না। এমনই একটা অবস্থা করে ফেলেছে। তো এই অবস্থায় দেশনেত্রী আসছেন। আমরা মনেপ্রাণে তাঁর সুস্থতা কামনা করছি এবং উনি নিশ্চয়ই আমাদের পরবর্তী গাইডলাইন দেবেন।’
এর আগে বিমানবন্দরে বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা হাজির হন। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চারজনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে থাকার অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বলেন, বিমানবন্দরের ভেতরে থাকার জন্য বিএনপির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চারজনকে অনুমতি দিয়েছে। বিমান থেকে খালেদা জিয়া অবতরণ করার পর তাঁরা ম্যাডামকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রিসিভ করবেন।’
চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন।