সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

জলঢাকায় একই সভায় জামায়াত নেতা বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় সভা বর্জন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী- মোজাম্মেল হক

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

মহিনুল ইসলাম সুজন, রিপোর্টার নীলফামারী : নীলফামারী
জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শনিবার
দুপুরে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলীর বক্তব্য
দেওয়াকে কেন্দ্র করে সভা বর্জন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রীর সভাস্থল ত্যাগের পর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি
গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মাহফুজার রহমান
ফিলিপস (৪৩)নামের ্ধসঢ়;একজন আহত হয়। তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও
পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এ ঘটনার আগে মন্ত্রী ওই ভবনের ফলক উম্মোচন ও ফিতা কেটে ভবনের
উদ্ধোধন করেন।
জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-
কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম
মোস্তফা,নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)
মুজিবুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন, উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার
ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রিয় কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক সরকার
ফারহানা আখতার সুমি, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক
কমান্ডার হামিদুর রহমান প্রমুখ।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের সভা শুরু কিছু পরে উক্ত সভায় জামায়াত সমর্থিত
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বক্তব্য দিলে বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে
আসে। মন্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চান কিভাবে
এখানে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান বক্তব্য দিলেন? তবে তিনি
তার উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এক
পর্যায়ে মন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগ করেন যাতে সভা পন্ড হয়ে যায়।

মন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগের পর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের
দুটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও মাহফুজার রহমান ফিলিপস আহত হয়।
এ ঘটনায় জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী বলেন,
সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ
দেওয়ায় মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে সভা বর্জণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভার সভাপতি জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী দাবি তিনি কোনো দল করেননা।
আমি উপজেলা পরিষদের দেয়া আমন্ত্রন পত্র পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছি।
আমাকে বক্তব্য দিতে বলায় বক্তব্যও দিয়েছি। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে আমাকে
এরকম একটি পরিস্থিতিতে ফেলানো হলো।
তবে নীলফামারী -৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার কোন
বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করবার
শর্তে বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এখানে কোনো রকম দোষ নেই ।
কারন কোনো উপজেলায় মন্ত্রী মহাদয়দের কর্মসুচী থাকলে তার সকল দায়
দায়িত্ব ও সকল কর্মসুচী ঠিক করে থাকে স্ব-দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য।তাই
এর দায়ভার তিনি এড়িয়ে ডেতে পারেননা ।আমাদের ধারনা স্থানীয় এমপি’র
নির্দেশেই ওই জামায়াত নেতাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল ।আর আমাদের
এলাকার এমপি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে জামায়াত প্রীতির অভিযোগ
নতুন কিছু নয় ।এর আগেও তার বিরুদ্ধে দেশের একাধিক গ্রহনযোগ্য
গনমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে জামায়াত প্রীতির সু-স্পষ্ট প্রমানাদি সহ
একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল ।তখনই যদি দলের হাইকমান্ড ও কেন্দ্রীয়
নেতারা তার বিরুদ্ধে সাংগনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতেন তবে আজ হয়তোবা
এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার সুযোগ থাকতোনা। আমাদের প্রশ্ন
মন্ত্রী’র সভায় কে-কে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন,কে-কে আমন্ত্রন পাবেন
তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় এমপি’র সাথে পরামর্শ করেই
ঠিক করেছিলেন । কিন্তু সে সময়ে ওই তালিকাতে জামায়াত নেতার নাম
দেখেও এমপি নিরব ছিলেন নাকি তিনি সেই জামায়াত নেতাকে আমন্ত্রন
জানানোর জন্য তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এটাই আসলে
এখনো অধরা!

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451