টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে দলিল লিখক সমিতির সিন্ডিকেটে পড়েছে কয়েকশ
দলিল লিখক। সমিতির কর্তৃপক্ষের টিকচিহ্ন সম্বলিত সাংকেতিক চিহ্ন
না থাকলে সাবরেজিষ্ট্রার দলিল সম্পাদন না করার অভিযোগ করেছেন দলিল
লিখকরা। আর এ টিক চিহ্ন পেতে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে
হয় সমিতির নামে। জানা যায়, শ্রীপুর এসআর অফিসের দলিল লিখক ও
ষ্ট্যাম্প ভান্ডার সমিতি কর্তৃপক্ষ প্রতি দলিলে এক হাজার টাকা
সমিতির নামে জমা না দিলে দলিলে টিক চিহ্ন পড়ে না। টিক চিহ্ন না
থাকলে সাবরেজিষ্ট্রারও ওই দলিলে সই করেননা। গত বেশ কয়েকদিন ধরে
এমন রীতি চালু করায় দলিল লিখকরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। দলিল লিখক
শাজাহান মন্ডল জানান, দেশের কোন সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে এমন কোন
আইন নাই যে, প্রতি দলিলে সমিতিকে এক হাজার টাকা ঘুষ দিতে
হবে। অন্যায় ভাবে সমিতির কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকা
হাতিয়ে নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করে এক দলিল লিখক জানান,
সাফকবলা দলিলে প্রতি লাখে ৩০০ টাকা, হেবা প্রতি এক শতাংশে ৩০
টাকা, বন্টন নামা ও ঘোষনাপত্র এবং মর্গেজ দলিল আলোচনা সাপেক্ষে
ঘুষ দিতে হয়। এরপরও এখন দলিল লিখক সমিতির নামে এক হাজার টাকা
না দিলে দলিল রেজিষ্ট্রি হয় না। অপর দলিল লিখক জানান, সম্প্রতি এক দলিল
লিখক সমিতির এক হাজার টাকা দিতে অনীহা করলে তাকে সমিতির
প্রভাবশালী সদস্য ও স্থানীয় এমপি’র ভাতিজা তাকে চর থাপ্পর সহ লাঞ্ছিত
করেন। তিনি আরও জানান, ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী দলিল
লিখক ও সাবরেজিষ্ট্রারকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ দলিল লিখকদের
জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে শ্রীপুর
সাবরেজিষ্ট্রার দলিল লিখক সমিতির সভাপতি ও পৌর যুবলীগের সভাপতি
কামরুল হাসান বি.এ জানান, সমিতির ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য
সদস্যদের কাছ থেকে কোন চাঁদা নেয়া হচ্ছে না। এই টাকা দিয়ে
অফিসের খরচ, বাৎসরিক ভ্রমণ, মসজিদ পরিচালনাসহ বিভিন্ন কাজে
ব্যয় করা হয় এবং প্রতি বছরের শেষে যে টাকা থাকে তা সকল সদস্যদের
মাঝে সম হারে বন্টন করা হয়।