বাংলার প্রতিদিন ডটকম ,ঢাকা : পল্লবী থানাধীন নিমতলী বাজার এলাকায় রাজিব মোল্লা নামে এক ফুসকা ব্যবসায়ীর নিকট পুলিশের এক সোর্স চাঁদা দাবি করে। পল্লবী থানার পুলিশের সোর্স ফারুক ওরফে নাটা ফারুক ফুসকা ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা দাবি করে কিন্তু ফুসকা ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোর্স ফারুক তাহার সঙ্গে লোকজন নিয়ে কারখানায় ঢুকে জোড়পূর্বক তাহার কাছে থাকা ১টি সনি (ডি৩২০২৪) মডেলের ফোন ও ক্যাশে থাকা নগদ ১৫-১৬ হাজার টাকা লুটপাট করে ও ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও নানা প্রকারের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে এলাকা ত্যাগ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তাহার একজন নিকট আত্মীয় ঘটনাটি ঐ এলাকার একজন সংবাদকর্মীকে অবিহিত করে। পরে ভূক্তভুগির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জনতার আলো ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশক প্রান্ত পারভেজ তালুকদার নাটা ফারুকের মোবাইলে ঘটনাটির সত্যতা জানতে চাইলে সে সত্যতা স্বীকার করে ও বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই দিনের সময় বেধে দেয়। উক্ত ঘটনাটি অপরাধী সহজে স্বীকার ও সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় ভূক্তভুগিরা কোন প্রকার আইনী সহযোগিতা না নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার অপেক্ষায় থাকে। পরবর্তীতে অপরাধীর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্যারিস রোডের একটি সমিতি অফিসে মিমাংসার উদ্দেশ্যে বসলে অপরাধীরা ভূক্তভুগিকে বলেন লুটকৃত মোবাইল ফেরত নিতে হলে আরো ছয় হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় সেট ফেরত দেওয়া হবে না। ভুক্তভুগিরা তাদের কথায় রাজি না হয়ে বাড়ির পরিবারের সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে। পরের দিন সকালে ২৭/০৯/২০১৭ইং তারিখ থানায় হাজির হয়ে একটি এজাহার দায়ের করে। এজাহারের ভিত্তিতে ঐ দিনে সোর্স নাটা ফারুক পল্লবী থানার এস.আই বিল্লালের হাতে আটক হয়। আটককৃত নাটা ফারুককে হেরোইন দিয়ে একটি মাদক মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়। সোর্স ফারুকের সঙ্গী বাহিনীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়। এই কারনে, যে তাহাদের সঙ্গীকে তো আর হেরোইন বা কোন প্রকার মাদক সহ আটক করা হয়নি। তাহলে তাকে কেন মাদক মামলা দেওয়া হলো। ঐ দিন দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৮/০৯/১৭ ইং রাত দেড়টার মি: এর সময় সি-ব্লকে ফারুকের সঙ্গী বাহিনী পতিতা ব্যবসার সরদার ও ভূয়া পুলিশের পরিচয় দানকারী লাভলু ওরফে ফরর্মা লাভলু, মাদকের ডিলার ও মাদক ব্যবসায়ী হাবিব, একাধিক মামলার পলাতক সাজা প্রাপ্ত কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাস মিরপুর ১৩ নং এর রানা জয় ও ভ্রাম্মমান মাদক ব্যবসায়ী ও সোর্স লাভলুর সহযোগি রাহাতুল ইসলাম সাব্বীর সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েজন সাঙ্গপাঙ একত্রিত হয়ে রাজিব মোল্লাকে জরুরী কথা আছে বলে ডেকে আব্বাস উদ্দিন ইস্কুলের পিছনে নিমতলী বাজার হাক্কার পাড় অন্ধকার গলির ভিতরে নিয়ে যায়। এবং এলোপাতারী ভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে লাভলু প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাজিব মোল্লার কপালে ডান পাশে পাড় মারে এবং গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত করে। আহত রাজিব মোল্লার সাথে থাকা দুইটি স্মাট ফোন ও একটি নরমাল ফোন নিয়ে যায়। যাহার বাজার মূল্য ৫৩ হাজার ও নগদ ম্যানিব্যাগে থাকা কালেকশনের ১১,৪০০/- টাকা নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তির ডাকে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে দৃষ্কৃতকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। কারখানায় থাকা তাহার দুই নিকট আত্মীয়রা ঘটনা স্থলে আসিয়া রক্তাক্ত মূমূর্ষ অবস্থায় তাৎক্ষনিক সরোওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্য সম্পাদন করেন। এবং ঐ রাতে থানায় হাজির হইয়া একটি এজাহার দায়ের করেন এবং ঐ এজাহারের তদন্ত ভার এস.আই. বিল্লালকে দেওয়া হয়। ঐ দিনই মধ্য রাতে সি-ব্লকের বালুর মাঠ থেকে এজাহার ভূক্ত ৪ নং আসামী রাহাতুল ইসলাম সাব্বীরকে আটক করা হয়। আটককৃত সাব্বীরের মা ও বোন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বাদী পক্ষ তাদের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে অপরধাদের যথাযথ শাস্তির লক্ষে অটুট থাকে। এতে করে ৪নং আসামীর মা সাবিনা ও বোন মিম আক্তার বৃষ্টি থানার ভিতরে প্রকাশ্যে নারী নিযার্তন ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক প্রান্ত পারভেজ ও বাদী মোঃ রাজিব মোল্লাকে হ্যাস্তনস্ত করা হবে বলে হুমকি দেয়। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আসামীর মা, বোন ও ফরর্মা লাভলু ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হাবিব ও এস.আই বিল্ললের সাথে যোগ সাজেশ করে হুমকি প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যকে সুগম করতে সংঘবদ্ধ পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে আসামী জামিনে বের হওয়ার কয়েকদিন পর তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ০২/১০/১৭ইং তারিখ সংবাদকর্মী ও রাজিব মোল্লাসহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনের নামে একটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এস.আই বিল্লালের মদদে সিনেমার গল্পের মত একটি মিথ্যা এজাহার দায়ের করে, এজাহার দায়েরের পরে দূষ্কৃতকারী নারীরা সাংবাদিক প্রান্ত পারভেজ ও রাজিব মোল্লাকে হন্ন হয়ে খুজতে থাকে এবং তাদের সাজানো এজাহারের ঘটনাকে বাস্তবে রূপ দিতে রাজিব মোল্লকে রাস্তায় জনসম্মুখে টানা হ্যাচড়া করতে করতে লালমাটিয়া টেম্পু ইষ্টেনে নিয়ে যায় এবং হ্যাস্তন্যাস্ত করে। রাজিব মোল্লা বিষয়টি সংবাদকর্মী প্রান্ত পারভেজকে মোবাইলে জানালে সে ঘটনাস্থলে দ্রুত যায় এবং থামানোর চেষ্টা করে। পরে একপর্যায়ে বিষয়টি ভূক্তভুগিদের মামলার আয়ু এস.আই বিল্লালকে প্রান্ত পারভেজ মোবাইলে অবহিত করলে, বিল্লাল তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিক প্রান্ত পারভেজকে হয়রানির উদ্দেশ্যে দূষ্কৃতকারীদের এজাহারের আয়ুকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। পরে প্রান্ত পারভেজ ও বাদী রাজিব মোল্লাকে বিষয়টি থানায় মিমাংসা করা হবে বলে সুকৌশলে থানায় নিয়ে যায় এবং কাউকে কোন কিছু অবহিত না করে তড়িগড়ি করে লকাপে বন্দী করে দেয়। প্রান্ত পারভেজের আত্মীয় স্বজন ও কয়েকজন সংবাদকর্মী তাহার আটকের খবর পেয়ে থানায় গিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ্য হয়। পরদিন তাহাদের একটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা মামলা দিয়ে দৃষ্কৃতকারীদের পরিকল্পনাকে সফল করতে তাদের জেল হাজাতে প্রেরণ করে।
এই ভাবে যদি সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক রাষ্ট্রের কলম যোদ্ধারা নিপীড়িত নির্যাতিত সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশে দাড়ানোর অপরাধে সমাজের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত সমাজ কুলষিত কারীদের ক্ষোভের স্বীকার হয়ে কারাবরণ করতে হয় তাহলে একজন সংবাদকর্মীর সামাজিক যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তা পালন করতে দিধাসন্ধিহের মধ্যে পড়তে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা। সাংবাদিকদের উপর এমন হয়রানির তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
সুত্র/ জনতার আলোর প্রতিবেদন