আল মামুন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার তুলাট গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের স্ত্রী
মাহিয়া বেওয়া (৭০) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভূতি করা হয়। তার অবস্থা
আশংকা জনক হওয়ায় রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাহিয়া বেওয়ার শরীরে রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত
যাওয়া শেষ হলে মাহিয়ার নাতি শান্ত নার্সকে ডাকতে গেলে
নার্সরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করে। এ সময় তার পিতা তাকে
বাচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও চিকিৎসক ও নার্সরা মারপিট
করে।
নার্স ও চিকিৎসকদের মারপিটে পিতা-পুত্র আহত হলে তাদের
একটি ঘরে আটকে রাখা হয় এবং পরে হাসপাতাল থেকে বের করে
একটি সিএনজিতে তুলে দেয় তারা। পরে আহতরা জয়পুরহাট জেলা
আধুনিক হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। পরে মাহিয়া বেওয়াকেও
জোর পূর্বক হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিতে বাধ্য করে
চিকিৎসকরা। মাহিয়াকে রিলিজ নিয়ে আসার সময় পথেই তার
মৃত্যু হয়।
মাহিহার ছেলে আহত গাজিউল ইসলাম জানান কোন কারন ছাড়াই
চিকিৎসকরা তার ছেলে ও তাকে মারধর করেছে।
গাজিউলের ছেলে শান্ত হোসেন জানান, দাদীকে চিকিৎসা করতে
নিয়ে চিকিৎসকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাদের। নিজেরাত মার
খেয়েছেই আবার দাদীকেও বাঁচাতে পারলনা। এই ঘটনার সাথে
জড়িতদের বিচার দাবী করেন তিনি।
্ধসঢ়;মৃত মাহিয়ার নাতিবউ শামিমা জানান, অসুস্থ রোগীকে জোর
করে রিলিজ নিতে বাধ্য করে চিকিৎসকরা। এমনকি জোর করে তাদের
কাছ থেকে সই করে নেন চিকিৎসকরা আর রোগিকে আনার পথেই
মৃত্যু হয়। এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চান মৃত মাহিয়ার
পরিবার।
এদিকে মাহিয়ার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে শোকের ছায়া নেমে
আসে। হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন অসুস্থ ছেলে গাজিউল ও
তার ছেলে শান্ত। শুক্রবার বাদ আছর নামাজে জানাজা শেষে
পারিবারিক কবর স্থানে মাহিয়া বেওয়াকে দাপন করা হয়।