রামগঞ্জ প্রতিনিধি : ক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে হনুফা বেগম (৫৫) নামের এক সহজসরল ও হাবাগোবা ভিক্ষুকের মৃত্যুর একদিন পর ঘর তল্লাশি দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল বৃস্পতিবার উপজেলার নোযাগাও উত্তরপাড়া গ্রামে ছোট মাটির ঘর থেকে পাওয়া যায় এসব টাকা। এসময় ১৭০টি নতুন কাপড়, চাউল ও ধানের বিভিন্ন বস্তাও পাওয়া যায়। স্বামী, ছেলে ও মেয়েসহ কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় এসব উদ্ধারে কৌতুহল দেখা দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায় ওই বাড়ীতে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বইরগাইস পাটোয়ারী বাড়ীর ইসমাইল হোসেনের মেয়ে হনুফা বেগম। বিয়ে দিলেও তার সহজসরল হওয়ার কারনে স্বামীর ঘরে টিকতে পারেনি বেশী দিন। তার পর বাবার বাড়ি চলে আসে। ১৯৮৭ সালে পিতা-মাতা মারা যাওয়ার পর বাড়ীর লোকজনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একমাত্র ছোটবোন আমেনাকে নিয়ে আশ্রয় নেয় নানার বাড়ী নোয়াগাও উত্তরপাড়ায়। কয়েকদিন না যেতেই নানা-নানী মারা যায়। এরপর হনুফা বেগমের কোন অবলম্বন না থাকায় নিরুপায় হয়ে শুরু করে ভিক্ষা । হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে হানুফা বেগম। নি:সঙ্গ হনুফার কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় অনেকটা চিকিৎসার অভাবেই কয়েক ঘন্টা পর সে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে দাপনের কাজ সম্পর্ন করে। মৃত্যুর একদিন পর বাড়ীর লোকজন ভাংগা ঘরটির ভিতর থেকে এক এক করে পরনের ১৭০টি নতুন এবং ঘরের ভিতরে বিছানার নিছে, বেড়ার ফাকে , ছোট ছোট গর্তে পলেথিন মোড়ানো,বস্তার ভিতরসহ এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে আছে ১ -২ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০টাকার নোট। হাত দিলেই বেরিয়ে আসছে টাকা। বাড়ির লোকস্থানীয় উত্তরপাড়ার ইউপি সদস্য কাশেম সরদার জানান, হনুফা খুব ধার্মিক ছিল, ভিক্ষা করত, আর ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। তার মৃত্যুর পর ঘর থেকে ১ লাখ ৮৭হাজার টাকা ও ১৯০টি কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পাওয়া যায়। তার বোনটিও খুব সহজসরল ও হাবাগোবা হওয়ায় এবং কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় বাড়ীর একজনের কাছে এগুলো জমা রাখা হয়েছে। এসব টাকা পয়সা ও মালামাল এলাকাবাসীসহ আলোচনা সাপেক্ষে খরচ করা হবে।
href=”https://banglarprotidin.com/wp-content/uploads/2016/07/FB_IMG_1469782323924.jpg”>