মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী : নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সদর
ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে স্থাপিত গন-শৌচাগারটি নির্মানের পর থেকেই অব্যবহৃত রয়েছে। ফলে ওই
এলাকার কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে যত্র-তত্র মলমুত্র ত্যাগ করায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মূখে
পড়েছে।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ২নং ওয়ার্ডের দীঘলটারী গ্রামে জেলা পরিষদের অর্থায়নে দু বছর
আগে একটি গন-শৌচাগার নির্মান করা হয়। শৌচাগারটি নির্মানের জায়গা না পাওয়ায় ওই
ওয়ার্ডের তৎকালিন সময়ে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম তার নিজ জমিনের উপর গন-শৌচাগারটি
নির্মান করেন। গন শৌচাগারে রয়েছে একটি ল্যাট্রিন এবং একটি বাথরুম কিন্তু সেখানে নেই
কোন টিউবয়েল। পানির কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ টিউবয়েল বসানোর জন্য ল্যাট্রিনের সাথেই
টিউবয়েল বসানোর জায়গা ও ব্যবস্থা রয়েছে। শৌচাগারটির নির্মান শেষ হলে ওই গ্রামের দুলাল
নামের এক যুবক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামকে না জানিয়ে তার নিজস্ব অর্থায়নে ল্যাট্রিনের
অভ্যন্তরে এবং বাথরুমের কিছু অংশ টাইলস বসিয়ে তা ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলে। আর
এতেই বাধ সাধে ইউপি সদস্য। ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম তৈরী করা গনশৌচাগারটির দরজাসহ
কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে। তখন থেকেই গনশৌচাগারটি এভাবেই পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে বর্তমান
ইউপি সদস্য নুর ইসলাম জানায়, এলাকার গরীব মানুষদের স্বাস্থ্য সু-রক্ষায় গনশৌচাগারটি
নির্মান করা হয়। কিন্তু গনশৌচাগারটি সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামের জমিতে নির্মান
করায় তিনিই এটি দাবী করে আসছে। তিনিই নির্মান করেছেন আবার তিনিই তা ভেঙ্গেছেন।
গন-শৌচাগারটি ব্যবহার না হওয়ায় এর আশ পাশের প্রায় ১৫/২০টি পরিবার এখনো খোলা আকাশের
নীচে যত্র-তত্র মল-মূত্র ত্যাগ করে থাকে। ফলে ওই এলাকায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা হুমকীর মূখে পড়েছে।
সরকার গত কয়েক বছর ধরে শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও এ বিষয়ে কাজ করছে। অথচ এ গ্রামে একটি গন-শৌচাগার থাকলেও
তা ব্যবহার হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। গন-শৌচাগারটি কোন বছরে এবং
কত টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছে তার কোন তথ্য দিতে পারেনি ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের
সচিব আকতারুজ্জামান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোছাব্বের হোসেন মানু জানায়,আমি
নির্বাচিত হওয়ার আগে এটি নির্মান করা হয়। এর কোন তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে নেই। পরবর্তিতে
সেখানে একটি টিউবয়েল স্থাপন করে পানির ব্যবস্থা করা হবে।