সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকেঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষ দখল করে ওষুধের
দোকান বসিয়ে দিব্যি ৪ বছর যাবৎ ব্যবসা করে যাচ্ছেন, হাফিজুর রহমান
(৩৫) নামের এক পল্লী চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ৮ নং
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আধুনিক সরকারী ভবনে। আর ভবনের
বৈদুত্যিক সুবিধা , আসবাবপত্র সহ নানা সরকারী সুযোগ সুবিধা
ভোগ করছেন তিনি নিজের মত করে। জানা গেছে, মাঝদক্ষিনা গ্রামের
প্রভাবশালী হাফিজুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী ভবনের একটি কক্ষে
‘‘ দবির উদ্দিন প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ’’ খুলে বছরের পর বছর
ব্যবসা করলেও দেখা কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাফিজুর
রহমান শিক্ষায় বি,এস,সি (অনার্স) প্রাণীবিদ্যা তার পেশাগত সনদের
যোগ্যতা এল,এম,এ,এফপি (মেডিসিন, চর্ম ,যৌন মা ও শিশু রোগে
অভিজ্ঞ ) উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সাটানো সাইনবোর্ডে। তিনি
রোগী প্রতি ১০০ টাকা ভিজিটে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন এবং ওষুধও
বিক্রি করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এখানে বসেই পল্লী চিকিৎসক
হাফিজুর রহমান শুধু রোগী দেখেন না ব্যাক্তিগত সকল কাজই সরকারী ভবনে
থেকেই করে থাকেন। এছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট
বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ প্রসঙ্গে পল্লী চিকিৎসক
হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি মাসে চেয়ারম্যানকে ৩০০ টাকা ভাড়া
হিসেবে দিয়েই এখানে ব্যবসা করছি। আর সরকারী ভবন দখল করে এ রকম
ব্যবসা করলেও তিনি কিছুই দেখেন না কেন ? এ প্রশ্ন করলে ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস নিরব থাকেন। বরং তিনি বলেন, আমার
পুর্বের চেয়ারম্যান তাকে একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়। এরপর থেকে হাফিজুর
রহমান সেখানেই ওষুধের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এটা বৈধ
কি না জিজ্ঞেস করলে ইউপি চেয়ারম্যান আবারও নিরব হয়ে যান। এদিকে
হাফিজুর রহমানের ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী ভবনের কক্ষ দখল করে ওষুধের
দোকান দেয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় নাম প্রকাশে এক ব্যাক্তি জানান,
সংশ্লিষ্টরা হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েই
এ ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ইউএনও এসএম ফেরদৌস
ইসলাম জানান, ওষুধের দোকান দিয়ে সরকারী ভবনের কক্ষ দখল করে এ ধরনের
ব্যবসা করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।