রাজধানীর কাকরাইলে শামসুন্নাহার ও তাঁর ছোট ছেলে শাওন হত্যার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার গোপালগঞ্জ থেকে আল আমিন ওরফে জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের দাবি, গ্রেপ্তার জনিই মা-ছেলে হত্যার মূল হোতা।
বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘চারদিন আগে এই যে মুক্তা, তার (আবদুল করিম) তৃতীয় স্ত্রী, সুইসাইড করার একটি পরিকল্পনা করে এবং তখন যে বাসাতে মুক্তা অবস্থান করছিল সেখানে আবদুল করিম এবং তার ভাইও ছিল। তারা যখনই ঘটনাটি জানতে পারে যে আত্মহত্যা করবে তখনই তারা দ্রুত গিয়ে এই আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করে এবং এই ঘটনাটিই ছিল আসলে মূল বিষয়। সেদিনই কিন্তু সে (আল আমিন) প্ল্যান করে যে যার প্রেক্ষিতে তার বোন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল, সে ক্ষেত্রে সে একটি হত্যার পরিকল্পনা করে।’
এরপরই একটি ছুরি কিনে বুধবার শামসুন্নাহারের কাকরাইলের বাড়ি যান জনি। সেখানে তিনি বাড়ির গৃহকর্মীকে রান্নাঘরে আটকে একাই মা-ছেলেকে হত্যা করেন বলেও স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
শামসুন্নাহারের বড় ছেলে মিশু ও মেজো ছেলে অনিক বিদেশে থাকায় মরদেহ দুটি হিমঘরে রাখা ছিল। আজ তাঁরা দেশে ফেরার পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় শামসুন্নাহার ও শাওনকে।
এ হত্যার ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে ছয়দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ৭৯/১ নম্বর বাসভবনের পাঁচতলার নিজ ফ্ল্যাট থেকে মা শামসুন্নাহার ও তাঁর ছেলে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়।