ভালুকা (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি :
চলতি মৌসুৃমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। কৃষকের মাঠে
হাওয়ার দোল, নবান্নের হাতছানি। আমনের মাঠে সোনালী ধানে ভরে
উঠেছে ফসলের মাঠ। বা¤পার ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি
সম্প্রসারন বিভাগ।
সোনালী ধানের ফসলে কৃষকের গোলা ভরে তোলার এ ধারাকে অব্যাহত
রাখতে এবার ময়মনসিংহের ভালুকায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে সরকারের
লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশী। আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে উপজেলার কিছু
কিছু এলাকায়।
ভালুকার সব এলাকায় সবুজের সমারোহে ফসলের মাঠে সোনালী ধানের
মৌ মৌ গন্ধ জানান দিচ্ছে নবান্নের আগমনের আগাম বার্তা।
নবান্ন সব সময়ই বাঙ্গালীর উৎসবের একটি অধ্যায়। নবান্ন মানেই
পিঠা-পুলি ,ফিরনী –পায়েস ,নতুন ধানের চিড়া আর বিন্নী ধানের
খই। বাড়ীতে নতুন আত্মীয়-কুটুম আর নবান্নের উৎসবে মাতোয়ারা।
সেই অধ্যায়ের হাতছানি চোখে পড়ে ভালুকার বিভিন্ন ফসলের মাঠে।
ভালুকায় এবার আমনের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো বলে জানিয়েছে
কৃষি অফিস। উপজেলার মল্লিকবাড়ীর ভান্ডাব এলাকাসহ ২/১ জায়গায়
হাল্কা পাতা পোড়া রোগের প্রাদূর্ভাব থাকলেও তা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে
জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পাল।
বিভিন্ন ফসলের মাঠে ঘুরে এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে তাদের
তৃপ্তি ও অনুভূতির কথা জানা যায়, উপজেলার কাচিনা এলাকার কৃষক
মো: আ: হালিম জানান, এবার তার ক্ষেতে আমনের বা¤পার ফলন হয়েছে যা
প্রত্যাশা করেছেন তার চেয়ে বেশী ফলন হবে বলে আশা করছেন। কৃষি
বিভাগের লোকজনের কাছ থেকে আমরা মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা
পেয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সবুজের সমারোহে ধানের
পাতা ও শীষ ঝির ঝির বাতাসে দুল খাচ্ছে ,মিতালী করছে প্রকৃতির
সাথে। কোথাও চোখে পড়ছে ধানের কচি ডগার মাঝখানে উঁকি
মারছে সোনালী ধানের সবুজ ছড়া, কোথাও বা হালকা বাদামী রং আবার
চোখে পড়ছে সোনালী শীষের মৌ মৌ গন্ধ এ যেন নবান্নের
হাতছানি।
আমন আবাদ ও ফলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, ভালুকা উপজেলায় এ বছর আমন
আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯০৪৫ হেক্টর। তন্মধ্যে ব্রী ধান-৪৯ জাত,বীনা ধান-
৭,বি আর-১১,ব্রী ধান-৫১,৫২,৬২ ধানের জাত এবং বাকী গুলো স্থানীয়
জাত। আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫৫ হেক্টর বেশী ।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা কূষি অফিস ও মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী
কূষি কর্মকর্তার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তদারকি, সহযোগিতা ও
কৃষকদের সঠিক পরামর্শে দেয়া হয়েছে । তবে গত মাসের অতি
বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় ধানের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ১৪০ হেক্টর ধানের
জমি আংশিক ক্ষতি হয়েছে । এতে বাম্পার ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত ঘুরে দেখে এসেছেন বলে
জানান কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল। এদিকে গত সপ্তাহে আগাম
আমন ধান কাটার উদ্ভোধন হয়েছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নে ।