শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিন্দুবাড়ি গাউসুল আজম সিনিয়র
মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে
বেত্রাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাবিহা
আক্তারকে প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বিল্লাল হোসেন
বেত্রাঘাত করে আহত করায় রোববার পাঠদানে অংশ নিতে পারেনি
এই শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষার্থী বিন্দুবাড়ি জিউসি গ্রামের আব্দুস সামাদের
মেয়ে।
শিক্ষার্থীর স্বজনদের অভিযোগ গত শুক্রবার হতে জ্বরে আক্রান্ত হয়
সাবিহা আক্তার অসু¯’ অব¯’ায় শনিবার মাদ্রাসা পাঠদানে অংশ
নেয় সে। হঠাৎ করে জ্বরের পরিমাপ বেড়ে যাওয়ায় সহপাঠি এক
ছাত্রীকে নিয়ে সে পাশের এক বাড়িতে মাথায় পানি দিতে যায়।এ
সময় প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বিল্লাল হোসেন
মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যের বাড়িতে যাওয়ার কৈফিয়ত চান। এসময়
সাবিহা তার অসু¯’তার কথা শিক্ষককে অবহিত করার পর অফিস
সহায়কের মাধ্যমে অফিস থেকে বেত এনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের
সামনে বেত্রাঘাত করলে আহত হয়ে পরে সাবিহা আক্তার। পরে
সহপাঠিদের সহায়তায় সে বাড়ি ফেরে।
শিক্ষার্থীর মামা আতিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর আহত হয়ে
যাওয়ায় সাবিহা রোববার মাদ্রাসার পাঠদানে অংশ নিতে
পারেননি। আমরা অভিভাবকেরা আজ মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ সহ
সবাইকে সাবিহাকে আহত করার বিষয় অবহিত করলে তাঁরা এ
ঘটনার সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দিলে আমরা বাড়ি চলে আসি।
অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের বক্তব্যের জন্য তাঁর মুঠোফোনে
একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে বক্তব্য
দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাদ্রাসায় যোগাযোগের পরামর্শ
দেন।
মাদ্রসার পরিচালণা পর্ষদের সভাপতি কমর উদ্দিন জানান,এ বিষয়ে
আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আগামী শনিবার পরিচালণা কমিটির
সভা আহবান করা হয়েছে,সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম
জানান,এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি তবে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারিরীক নির্যাতন করা বেআইনি।
এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যব¯’া গ্রহণ করা
হবে।