সালেকিন মিয়া সাগর/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ও কার্পাসডাঙ্গাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিদের্শকে অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে । দামুড়হুদার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার-রফিকুল হাসান কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা তোয়াক্কা না করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এক শ্রেনীর অসাধু শিক্ষকরা। তথ্য ও অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছির বিভিন্ন এলাকায় কোমলমতি অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের কোচিং এ পড়ার জন্য বাধ্য করে কিছু অসাধূ শিক্ষকরা।
কোচিং বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে অনেকে। ছাত্র/ছাত্রীরা কোচিং এ ভর্তি না হলে পরিক্ষায় ফেল করানো হবে এমন ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে কিছু অসাধু শিক্ষকের বিরুদ্ধে।বিশেষ করে কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বড়বলদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষরা নিজ নির্মাণাধীন ঘরে চলছে কোচিং সেন্টার।
এছাড়াও যেসকল শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক বর্তমানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত রয়েছেন।বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবে বাস্তবায়ন না করেকোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা হ্রাস পাচ্ছে ,তেমনি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরাও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের ও আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানায়,তাদেরকে প্রতি মাসে তিনশত টাকা করে কোচিং ফি দিতে হয়।দামুড়হুদা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা কোচিংসেন্টারের ব্যাপারে খুব শিঘ্রই প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এবং মাননীয় এমপি মহাদয়ের সহযোগিতায় নিয়ম এবং নীতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে গরীব মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পড়া লেখার সুব্যবস্থাকরে দেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।