মোঃ আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার
শ্রীমঙ্গলে ০৮ই নভেম্বর বুধবার শহরের সুনামধন্য উদয়ন বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের শিক্ষককে যৌন হয়রানীর কারনে তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে
১ মাসের কারাদন্ড প্রদান । এরই জের ধরে এবার প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রানী
দেব এর রোষানলের শিকার যৌন হয়রানীর ছাত্রীটি।
প্রধান শিক্ষিকার বরাবর আবেদনের সূত্র ধরে দরিদ্র মেয়েটি যৌন হয়রানী
শিকার হয়েও বুধবার উপস্থিত সকলের বলা পরেও আজ মেয়েটিকে পরীক্ষার ফরম ফি
বাবত কোন টাকা মওকুফ তো করেননি, বরং দরিদ্র মেয়েটি কথা বলতে গেলেই প্রধান
শিক্ষিকার রোষানলের তীব্রতা প্রকাশ পায়। পরে বাংলাদেশ প্রতিক্ষণের
প্রকাশক ও সম্পাদক আলতাফ খাঁন ব্যক্তিগত ভাবে পরীক্ষার ফরম ফি বাবত বাকী
টাকা প্রতিশোধ করে পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। আলতাফ খাঁন
টাকা প্রতিশোধ সাথে রশিদ চাইলে তা দিতেও অপারগতা জানান প্রধান শিক্ষিকা
কবিতা রানী দেব।
কোন ভাবেই রশিদ দেননি প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রানী দেব। উক্ত সময় প্রধান
শিক্ষিকাকে কে আলতাফ খাঁন জানান এই সব বিষয় নিয়ে শ্রীমঙ্গলের উপজেলা
নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলামের সাথে আমার কথা হয়েছে।
তার জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন আমারো কথা হয়েছে। আমি এক টাকাও কম রাখবো
না, আর কোন ভাবেই ১৪ তারিখের আগে রশিদ দিব না।
এবার আসা যাক বিস্তারিত ঘটনায়। যৌন হয়রানীর শিকার ছাত্রীটি আজ দুপুরে
বাংলাদেশ প্রতিক্ষণের প্রকাশক ও সম্পাদক আলতাফ খাঁন কে ফোন করে জানায় যে,
গতকাল বলা হলো আমি ২০০০টাকা পরীক্ষার ফরম ফি বাবত জমা দিতে। কিন্তু আজ তা
জমা দিতে গেলে অফিস সহকারী আমায় বলেন, পুরো টাকাই আমায় দিতে হবে প্রধান
শিক্ষিকা বলেছেন।আমি বাকী টাকা ম্যানেজ করতে পারিনি,আর কালতো বলা হয়েছে
এই টাকায় জমা দিতে। আমি এখন কি করবো ভাইয়া? আমি পড়াশুনা করতে চাই।
তখন অফিস সহকারীর সাথে কথা বলতে চাইলে,তিনি আলতাফ খাঁন কে বলেন প্রধান
শিক্ষিকার সাথে কথা বলতে।পরে ফোনে কথা বলতে প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রানী
দেবের সাথে কথা বলতে চাইলে,তিনি কথা বলেননি। সম্পাদক আলতাফ খাঁনের মোবাইল
নাম্বার থেকে বহুবার কল দেবার পরেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে আলতাফ খাঁন
শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অফিসে গিয়ে কথা বলে আসেন।
পরে আবারো অনেক কলের পর প্রধান শিক্ষিকা কল রিসিভ করে জানান,একটি টাকাও
মওকুফ করা যাবে না। পরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিছ
আলীকে ফোন করে বিস্তারিত কথা জানালে,এম ইদ্রিছ আলী বলেন স্কুলে গিয়ে
প্রধান শিক্ষিকার সাথে আবারো কথা বলতে।
আলতাফ খাঁন প্রধান শিক্ষিকার কাছে স্কুলে গিয়ে কথা বললে প্রধান শিক্ষিকা
জানান, আমি এক টাকাও কম রাখবো না, আর কোন ভাবেই ১৪ তারিখের আগে রশিদ দিব
না।
এমন অবস্থায় মেয়েটি এবার পরীক্ষার ফরম ফি জমা দিতে না পরলে, পরীক্ষার
দিতে পাবে না। পরে বাংলাদেশ প্রতিক্ষণের সম্পাদক আলতাফ খাঁন ব্যক্তিগত
ভাবে পরীক্ষার ফরম ফি বাবত বাকী টাকা প্রতিশোধ করে পরীক্ষার্থী পরীক্ষার
ব্যবস্থা করে দেন।