সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

তারাগঞ্জে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

বাংলার প্রতিদিন ডটকম,

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ডাকা সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। এতে গুলিতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাগলাপীর এলাকায় অবরোধ করে কয়েক হাজার স্থানীয় লোকজন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও বাধা দেয় তারা।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁর বাড়িসহ পাঁচটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া ১৪ থেকে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়। তার নাম হাবিবুর রহমান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুর মেডিকেলের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুজন বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল রয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর।

নিহতের স্বজন আজিমুল ইসলাম বলেন, হাবিবকে মৃত অবস্থায় পেয়ে ভর্তি করেনি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেয় পড়ে রয়েছে।

নিহত হাবিবের বোন আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম বলেন, তিনটি গাড়ি নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের বাধায় তাঁরা যেতে পারেননি। দুটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয়রা।

সংঘর্ষের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ঘটনার সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451