কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছে ছালমা খাতুন নামের এক কলেজ ছাত্রী । স্থানীয়দের চাপে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বর্তমানে প্রতারক প্রেমিক সাজেদুল বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গাঁ ঢাকা দিয়েছে। এ দিকে বিয়ের দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে ছালমা খাতুন। দামুড়হুদা উপজেলার জগনাথপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে সাজেদুলের (২৮) প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এক কলেজ ছাত্রী সর্বস্ব হারিয়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে। অনশন করা অবস্থায় তাকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাজেদুলের পরিবারের উপর।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগনাথপুর গ্রামের বাজার পাড়ার বাবলু মিয়ার ছেলে সাজেদুল (২৮ ) ও একই উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের আসুব্বারের মেয়ে দামুড়হুদা ওয়াদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলজের ছাত্রী সালমা খাতুনকে (২৩) প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। জানা যায় তাদের মধ্য দীর্ঘ ৪বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। এদিকে সোমবার সকালে প্রেমিকাকে বিবাহর প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বিবাহের সকল আয়োজন শেষ করেছে বলে দ্রুত বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার জন্য ফোন করে প্রেমিক সাজেদুল । তাতক্ষনিক প্রেমিকা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে । সকাল থেকে কার্পাসডাঙ্গা,দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন জায়গার ঠিকানা দেয় কিন্তু কোথাও সে দেখা করেনি । পরে মোবাইল ফোনে সাজেদুল সে বাড়িতে অাছে বলে তার বাড়িতে যেতে বলে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী তার বাড়িতে যাই এবং পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিয়ের দাবী নিয়ে তার প্রেমিক সাইদুরের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। প্রেমিকের বাড়ির লোকজনকে প্রথম তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে রেখে অাসতে চাইলে সে তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে এবং সে কোথাও যাবে বলে জানাই। পরে প্রেমিকের পরিবারে সদস্যরা তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং মোবাইলের প্রমান গুলো মুছে ফেলার চেষ্টা চালায়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে বলেও জানান ওই ছাত্রী। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের কথা জানালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তার পরিবার । উপযুক্ত কোন ব্যবস্থা না নিলে প্রতারিত ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার কথাও জানান ।