জাকির পাটোয়ারী,রামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের “লক্ষ্মী” হিসেবে পরিচিতি অর্থকরী ফসল সুপারী এবার বাম্পার হয়েছে। জেলার
প্রতিটি উপজেলার ন্যায় রামগঞ্জ উপজেলায় সুপারী চাষে কৃষকেরা মুখে হাঁসি
ফুটছে। চাষীরা সুপারী বিক্রিতে বেশী মূল্য পাওয়ায় এবার এ উপজেলায় কৃষকের আগ্রহ
বেড়েই চলছে।স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অত্র উপজেলার সুপারী সরবরাহ হচ্ছে বহি:বিশ্বে ।
চলতি বছরে মৌসুমের শুরুতে বেড়ী বাধেঁর ভিতরে স্থানীয় সুপারী ব্যবসায়ীরা
রামগঞ্জ,সোনাপুর,কামারহাট,চৌধূরীবাজার,পানপাড়া,পদ্মাবাজার,বাংলা
বাজার,নোয়াগাঁও,পানিয়ালা,দল্টা,ভাটরা বাজারে কেনাবেচায় ব্যস্থ থাকে। সকাল থেকে
সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইকারী ব্যবসায়ীরা টুকরি,ছটনিয়ে সুপারী চাষীদের বাগান ঘেঁষে
সড়কে বসে সুপারী কেনাবেচা করেন। পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুপারী খরিদ
করে আড়াতদারগণ দেশের বিভিন্ন স্থানও বহি:বিশ্বে রপ্তানী করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জসিম উদ্দিন জানান রামগঞ্জ উপজেলার ৯৯০ হেক্টর জমিতে
এক হাজার ৮৩১ মেট্রিকটন সুপারী উৎপাদিত হচ্ছে।এ বছর প্রতি পোন সুপারী ২০ গুন্ডা
(৮০)টি মানভেদে ৯০ থেকে ১শত ৭০ টাকা,প্রতি কাউণ (১২৮০)টি সুপারী প্রায় দুই
হাজার থেকে ২হাজার ৮শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী
বলেই একাধিক চাষীরা জানাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু ইউসুফ জানান এ উপজেলার মাটিও আবহাওয়া
সুপারী চাষে খুব উপযোগী। সুপারী বাগানের মাধ্যমে অত্র উপজেলায় সুপারী চাষীরা
লাভবান হচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এবার কাঁচা –পাকা সুপারীর দাম অনেকটা বেশী।
স্থানীয়রা জানান সুপারী গাছ একবার রোপন করলেই কোন পরিচর্যা ছাড়াই টানা ৩৫-
৪০ বছর ফলন হয়।চাহিদার তুলনায় উদপাদন খরছ কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশী আয়
করা যায়।সুপারী বাগানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কিংবা রোগ-বালাই কম থাকায় এ
অঞ্চলের কৃষকেরা বেশীর ভাগই সুপারী চাষে বেশী ঝুঁকছেন। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে
সুপারী গাছে মুকুল কিংবা ফুল আসে।পওে এ ফুল থেকে সৃষ্ট সুপারী পুরোপুরি পাকে
কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসে।মূলত কার্তিক মাসের শেষ দিকে উদপাদিত সুপারির প্রায়
৪০ ভাগই দেশে-বিদেশে রপ্তানী হয়। আর ৬০ ভাগই সুপারী নদীনালা,খালডোবা,পুকুরও
পানি ভর্তি পাকা হাউজে ভিজিয়ে এবং রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।