আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট ও নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।আজ বুধবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন, আমরা সবই করব। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আছে তারাই যথেষ্ট রংপুরের মতো একটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না।বলাই হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য যা যা প্রয়োজন তাই তাই করা হবে, যোগ করেন নির্বাচন কমিশনার।জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করা হবে। যাতে নির্বাচনের অনুষ্ঠানে কমিশনের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ না পায়।এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর, ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল, সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা প্রমুখ।নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মেয়র পদে তাঁদের প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছে। আজ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন এবং মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর।প্রার্থীরা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং এ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৪ ডিসেম্বর।রংপুর সিটিতে ভোট হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনে শপথ নেওয়ার পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর এর মেয়াদ থাকে। আর এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।