শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গত সাত মাস আগেও গাজীপুরে খাস জমির মাটি বিক্রির
অভিযোগে দুইজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ
আদালত। মো. শিপন ও আব্দুল হালিম। গাজীপুর নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তবুও থেমে নেই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার
ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যরা খাস জমি থেকে ২৫-৩০ ফুট গভীর করে
মাটি খনন করে বিক্রি করছে।
এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলার তালতলি গ্রামের জয়নাল
হাজারী,একই এলাকার রেজাউল,এমসি এলাকার শহিদ মিয়াসহ
অনেক মাটি চুরদের প্রতি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাওরাইদ
ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের আবুল কালাম,বলদীঘাট শিমুলতলি
গ্রামের সিরাজ মাষ্টারসহ অনেকেই খাস জমির মাটি বিক্রি
করছেন। কম দামে মাটি ক্রয় করে বিভিন্ন কারখানায় বিক্রি করেন,
এমসি এলাকার শহিদ মিয়া, তালতলি গ্রামের জয়নাল হাজারী,একই
এলাকার রেজাউলসহ অনেকেই।
এরফলে উপজেলার সকল সড়ক ভেঙে বেহাল দশা বেহত হচ্ছে চলাচল
যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জৈনাবাজার থেকে কাওরাইদ,সড়ক,চেয়াম্যান বাড়ি থেকে
পারুলদিয়া সড়ক,নয়নপুর থেকে বরমী সড়ক,এমসি থেকে টেংরা
সড়কের কালভার্ড নেই বললেই চলে।
চেয়াম্যান বাড়ি থেকে পারুলদিয়া রুটের সি এন জি চালক
আয়ুব আলী বলেন,এদের কারনে আমাদের গাড়ীর অনেক সমস্যা দেখা
দেয়,ভাঙা চোরা রাস্তায় গাড়ী চালাতে পারিনা।
কিছু বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। তাই ভয়ে
কিছু বলতে পারিনা। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ভাঙা রাস্তা দিয়েই
গাড়ী চালাতে হয়।
আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী বলেন,মাটির
গাড়ী চলাচলের কারনে ভাল রাস্তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে,সময়
মতো কলেজে পৌছাতে পারিনা। বৃষ্টি হলে কাঁদা,আর রুদ্র উঠলে
ধোলোই কাপর চুপর নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা এল জিডি আই ইনঞ্জিনিয়ার
সোজায়েদ হোসেন বলে,এই ব্যাপারে বার বার উর্ধতম
কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছি,অতি অল্পসময়ের মধ্যেই এর
সমাধান হবে আশা করি।