বাংলার প্রতিদিন ডটকমঃ
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ এর গবেষণায় বিশ্বের তৃতীয় সৎ নেতা মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘আমি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে, জীবনকে বাজি রেখে বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
আমি টাকা-পয়সা আছে কিনা তা কখনও চিন্তাও করি না। ওটা নিয়ে আমার কোনো দু:চিন্তা নাই। এমন দিনও যায় যেদিন সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি ঘুমাতেও পারি না।’
নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সম্পূরক প্রশ্নে তিনি এসব মন্তব্য করেন।এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ওই অনুসন্ধানে ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। দ্বিতীয় হয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কি পেলাম, কি পেলাম না, সেই হিসাব মিলাতে আমি আসিনি। সেই হিসাবটাও আমার নাই। আমার একটাই হিসাব এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কতটুকু কাজ করতে পারলাম সেটাই আামার কাছে বড়।’তিনি বলেন, ‘আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই যাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তাদের দেশে জনসংখ্যা কত? আর আমার দেশের জনসংখ্যা কত? এটা যদি তারা একটু তুলনা করতেন তাহলে হয়তো অন্য হিসাব আসতো।
’তিনি বলেন, ‘আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, জীবন তো চলেই যাবে। আমাদের দেশে যে প্রতিকূলতা, সেই প্রতিকূলতার মধ্যে তাদের যেতে হয়নি। আমাদের দেশে গণতন্ত্র ছিল না। তা ফিরিয়ে এনে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে।’প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘১২ বা ১৪ ঘন্টার হিসাব নাই। অনেক সময় সাড়ে সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি ঘুমাতেও পারি না। যখনই কাজ আসে তখনই কাজ শুরু করতে হয়।
এই কাজগুলো করি আমি মনের টানে। কারণ আমার বাবা দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তার একটা স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়বেন। আমার একটাই চ্যালেঞ্জ যে কাজটা আমার বাবা করে যেতে পারেননি সেই কাজটা আমি সম্পন্ন করব।’
‘তবুও আমি বলব এই মূল্যায়নটা যারা করেছেন তারা তাদের মত করে করেছেন,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় হাস্যজ্জ্বল শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য এটা যে তুলবেন সেটা আমি জানতাম না। উনি সব সময় অনেক তথ্য নিয়ে এসে বক্তব্য রাখেন। এটি সম্পূরক প্রশ্ন হয়নি। তবুও স্পিকার আপনি সুযোগ দিয়েছেন আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।