বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

চিরিরবন্দরে আরেফা খাতুনের দুই চোখে অন্ধকার

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নুর আলম,চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ চিরিরবন্দরে
উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে
আরেফা খাতুন। গত ১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ওই সময় তার স্বামী
চিরিরবন্দরে রেলওয়ে লাইনম্যান হিসেবে কাজ করেছিল। আরেফা খাতুনকে
দেখে পছন্দ করে প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের সময় কাবিন নামায়
ঠিকানা দেয় নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর উপজেলার রনাহার গ্রামের আশিদুল
ইসলামের ছেলে আতোয়ার হোসেন। বিয়ের পর সুখেই দিন কাটছিল। বিয়ের
৬ মাস আরেফা খাতুনকে সরকারী লাইনম্যানের চাকুরি কথা বলে (দুই লক্ষ
টাকা) দাবি করে। আরেফা খাতুনের মা বিভিন্ন এনজিও থেকে এবং
আতœীয়-স্বজনের কাছে ধার-দেনা করে টাকা ম্যানেজ করে জামাইর হাতে
তুলে দেয়। আতোয়ার হোসেন (দুই লক্ষ টাকা) হাতিয়ে নিয়ে অফিসারকে
টাকা দেবে বলে বাড়িতে থেকে চলে আসে। চাকুরী নাম করে ওই যে চলে যায়
আর ফিরে আসেনি। এবং আতোয়ারে বিভিন্ন নাম্বার ট্রাই করে তাকে
পাওয়া যায় না। এক মাস আগে ০১৭৭৯৫৮১৫৮০ এই নম্বরে আমাকে ফোন
দিয়ে কথা বলেছিল। স্বামী সঙ্গে কথা বললেও স্বামী দেশের কোথায় থাকে তা
জানতে চাইলে ঠিকমত বলে না। স্বামীকে খুঁজতে একস্থান থেকে
অন্যস্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে এক অসহায় স্ত্রী। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
জায়গা আসতে বলে মোবাইল ফোনে। কখনও বলে দিনাজপুর রেলওয়ে
লাইনম্যানে কাজ করি, আবার কখন বলে পীরগঞ্জ কাজ করি। এভাবে বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন জায়গার কথা বলে। সৈয়দপুর টার্মিনালে স্বামীর অপেক্ষা করার
কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও স্বামীকে খুঁজে পেলনা। একজনের
ফোন নিয়ে স্বামীকে কল দিলে অপর প্রান্তে এক নারী কলটি রিসিভ করে।
আতোয়ার নাম বলতে ওই নারী জানায় এখানে ওই নামে কেউ থাকে না, এটা
রং নম্বর বলে কেটে দেয় । সে নম্বরটি এখনও চালু আছে। এর মধ্যে আরেফা
খাতুন জানতে পারে তার স্বামী টংগীতে থাকে। ওই ব্যক্তি বিষয়টি
সাংবাদিককে জানালে আরেফা খাতুনের মুল কাহিনী তুলে ধরে। আরেফা
খাতুন জানতে পারছে তার স্বামী যেখানে কাজ করে সেখানেই একটি করে
বিয়ে করে। ওই এলাকার কাজ শেষ করে অন্যত্র জায়গা স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়।
আরেফা খাতুন দুই চোখে অন্ধকার দেখছে। কারণ প্রতিদিনের আঙ্গুলের
মাথায় গুনতে হচ্ছে — -ঈণীর পরিশোধের টাকা। সে স্বামীকে ফিরে পেতে
চায়। এভাবে আর কতদিন, স্বামীকে ফিরে পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে
বেড়াবে এর শেষ কোথায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451