মোঃ সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুরের পল্লীতে সৎ মায়ের দাঁ এর আঁঘাতে ছেলে
জামিরুল ইসলাম (১৭) খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ২ নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাঁউদপুর বাবু বাজার
এলাকার রিক্সা-ভ্যান চালক সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে।
জানা যায়, ২৬ নভেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার ২নং কাটলা
ইউনিয়নের দক্ষিণ দাঁউদপুর বাবু বাজার এলাকার রিক্সা-ভ্যান চালক
সাইদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গীস বেগমের সাথে তার সৎ ছেলে মৃত:
জামিরুলের শনিবার রাত্রী সাড়ে ৯ টায় রাতের খাবার নিয়ে কথা
কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে সৎ মা নার্গীস বেগম দাঁ দিয়ে
ছেলের মাথায় আঁঘাত করলে ঘটনাস্থলে জামিরুলের মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ধামা চাঁপা দিতে সৎ মা জামিরুলের গলায় চাঁদর
পেঁচিয়ে শয়ন ঘরের বর্গার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আতœহত্যা বলে
চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালায় বলে প্রতিবেশীরা জানান।
উত্তর দাঁউদপুর সরকার পাড়া এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে হারুনুর
রশিদ হারুন জানান, ঘটনার রাতে গ্রামের সায়েদ, মৃত: জামিরুলের
খালাত ভাই আজাদুল, মৃত: তাহের মন্ডলের ছেলে সরিফুল ইসলামসহ
বেশ কয়েকজন মোড়ের দোকানে বসে কথা বলছিলাম। রাত্রী সাড়ে ৯
টার পর সাইদুলের স্ত্রী আমাদের কাছে ছুঁটে এসে সায়েদকে
আড়ালে ডেকে কিছু বলার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁর চেহারায় ভয়-
ভীতি দেখা যায়। সায়েদ বিষয়টির গুরুত্ব না দিলে সরিফুল
নার্গীসের কাছে কি হয়েছে তা জানতে গেলে সে সরিফুলের হাত
ধরে টেনে তার বাড়ির দিকে নিয়ে যায়। কয়েক মিনিট পরে সরিফুল
ছুটে এসে আমাদের জানায়, জামিরুল গলায় চাঁদর পেঁচিয়ে ঘরের
বর্গার সঙ্গে আতœহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে পাশের বাড়ীতে থাকা জামিরুলের নানী মৃত: মমতাজের
স্ত্রী সালেহা বেওয়া জানান, ঘটনার সময় আমি জামিরুলদের
বাড়িতে কাউকে যেন পেটানোর আওয়াজ পাচ্ছিলাম। পরে উঠে
তাদের বাড়িতে গেলে ঘর আটকানো দেখে দরজায় ডাকা-ডাকি করে
কোন সাড়া না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। একটু পরেই
প্রতিবেশীদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আবার ফিরে গিয়ে আমার
নাতির মৃত দেহ দেখতে পাই। এ সময় স্বজনদের কাঁন্নায় পরিবেশ
ভারি হয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করেন।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকলেছুর রহমান
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি
চলছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িত
সৎ মা নার্গীস বেগমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের
প্রস্তুতি চলছিল।