স্পোর্টস ডেস্কঃ
কখনো এই দল শীর্ষে তো পরক্ষণই তাদের হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করছে অন্য কেউ। একেবারে নিচ থেকে উঠে এসে কোনো দল বসে পড়ছে শীর্ষ আসনে। স্বর্গচ্যুত হতেও দেরি লাগছে না। বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলটা যেন একটা মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হয়েছে। একটা সময় টেবিলের শীর্ষে ছিল সিলেট সিক্সার্স। ঢাকা-পর্বে টানা কয়েক ম্যাচ জিতে নাসিরদের হটিয়ে শীর্ষে ওঠে ঢাকা ডায়নামাইটস। এরপর দৃশ্যপটে আবির্ভাব হয় তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তাঁদের সরিয়ে দিতে সময় নেয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। আজ চিটাগংকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেছিল ঢাকা ডায়নামাইট। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আবার নিচে ঠেলে দিল খুলনা।
দুর্দান্তভাবে জমে উঠেছে এবারের বিপিএল। কোনো দলই শীর্ষ আসনে নিজেদের স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে পারছে না। এবার প্রথমবারের মতো সিলেটে বনেছিল বিপিএলের আসর। প্রথম পর্বের আটটি ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল সিলেট সিক্সার্স। স্বাগতিক হওয়ায় ঘরের মাঠে চার ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় নাসির হোসেনের দল। শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনার কাছে হারলেও প্রথম তিনটি ম্যাচই জিতে নেন নাসিররা। তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে যায় দলটি।
ঢাকা-পর্বে জয়ের ধারায় ফেরে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের এন নম্বর জায়গাটি দখল করেন সাকিব-আফ্রিদিরা। তবে শেষ পর্যন্ত জায়গাটি ধরে রাখতে পারেনি সাকিবের দল। ঢাকা পর্বের শেষ দিকে চমক দেখিয়ে তরতর করে ওপরে উঠে আসে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা-পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে ছিল তামিমরাই।
চট্টগ্রাম পর্বে এসে আরো জমে ওঠে বিপিএল। রংপুরকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সিংহাসন দখল করে মাহমুদউল্লাহ খুলনা টাইটানস। শীর্ষস্থান দখল করার সুযোগ ছিল তামিমদের সামনে। তবে রাজশাহীর বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় তেমনটা হয়নি। তবে সুযোগ হাতছাড়া করেনি ঢাকা। একদিনের ব্যবধানে স্বাগতিক চিটাগংকে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন সাকিবরা। তবে সেটাও ধরে রাখতে পারল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবার রাজত্ব ফিরে পান মাহমুদউল্লাহ। রাজশাহীকে ৬৮ রানে হারিয়ে এক নম্বরে উঠে এলো তাঁর দল খুলনা।
২৯ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে খেলা চলবে। এই দুদিন চারটি ম্যাচ রয়েছে। দেখা যাক, এই পর্বের শেষ পর্যন্ত কোন দল মসনদ দখলে রাখে!