গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হ”েছ। রোববার ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২২.৩৪ সে: মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২০.৪০ সে. মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্চে ।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের সিংড়িয়ার রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধভাঙ্গা পানির তোড়ে আলাই নদীর তালুককানুপুর ও সদর উপজেলার চুনিয়াকান্দির সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি রোববার দুপুর ১২টায় ভেঙ্গে গেছে। ফলে সদর উপজেলার বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও উদাখালীর বি¯-ীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বাঁধ ভাঙ্গা পানির তোড়ে কালিরবাজারের গোটা ফুলছড়ি উপজেলা চত্বর এখন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার সকল সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদটি জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বি”িছন্ন হয়ে পড়েছে। কাতলামারির উপজেলা স্বা¯’্য কেন্দ্রটি এখন জলমগ্ন। ফলে নৌকা ছাড়া উপজেলা পরিষদ ও স্বা¯’্য কেন্দ্রে যাতায়াতের কোন ব্যব¯’া নেই।
বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার পানির তোড়ে ফুলছড়ির কালিরবাজার-গুণভরি সড়কের পূর্ব ছালুয়া এবং কালিরবাজার কাঠুর সড়কের ব্রীজ দুটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম স্বা¯’্যসেবায় কর্মরত রয়েছে।
বাঁধ ভাঙ্গা বন্যা কবলিত মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট এবং গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহা”েছ। এছাড়া রান্না করার কোন ব্যব¯’া না থাকায় তারা খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারি উদ্যোগে যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হ”েছ তা চাহিদার চাইতে নিতাš-ই অপ্রতুল। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যš- ২৬ লাখ টাকা ও সাড়ে ৮শ’ মে. টন চাল এবং ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেসব ত্রাণ সামগ্রী দুর্গত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হ”েছ। বেসরকারি উদ্যোগে এখন পর্যš- কোন ত্রাণ সহায়তা বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়নি।