বাংলার প্রতিদিনঃ-
চলতি মাসেই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
গত ২৭ নভেম্বর পুলিশের নবগঠিত এন্টি টেররিজম ইউনিটে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে বদলি হওয়া মনিরুল ইসলাম জানান, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোহেল মাহফুজ, রাজিব, রাশেদ, জাহাঙ্গীর ও রিগ্যানসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের মধ্যে বাশারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজান নিহত হয়েছেন। হলি আর্টিজান হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীরা সবাই শনাক্ত হয়েছেন। এই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সাগর এখনো পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মনিরুল আরো বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আরো তিনজনের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন রিপন, খালিদ ও আকরাম হোসেন। এঁদের মধ্যে আকরাম হলি আর্টিজান ও পান্থপথের হোটেল অলিওতে হামলার পরিকল্পনায় অর্থদাতা। এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তদন্ত শেষ হবে। আর গ্রেপ্তার করা না গেলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে হলি আর্টিজান মামলার অভিযোগপত্র এই মাসেই দেওয়া হবে।
গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে অস্ত্রধারী জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া আহত হন অনেক পুলিশ সদস্য। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট অভিযান’ চালিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত ও ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে জাপানের সাত নাগরিকসহ ১৭ বিদেশি নিহত হন। এ ছাড়া অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হয়।