মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥
নীলফামারীতে সরকারি কর্মকর্তা স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ, মামলা
দিয়ে হয়রানী এবং হত্যার হুমকি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন স্বামী।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নীলফামারী শহরের বড় মসজিদ সড়কের মিডিয়া
হাউজে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমীতে কর্মরত জেলার কালচারাল
কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম ইলুর বিরুদ্ধ সংসার না করার
অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বামী নাহিদুজ্জামান ডেভিড।
এসময় ওই দাম্পত্যির সাত বছরের শিশু সন্তান আহনাফ তাহমিদ উপস্থিত
ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদুজ্জামান ডেভিট অভিযোগ করে বলেন, আমার
সাথে ২০০৫ সালের ২৫ মে পারিবারিক ভাবে রংপুরের ইসলামবাগ
হুনুমান তলা মহল্লার খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে খন্দকার রেদওয়ানা
ইসলাম ইলুর।
র্দীঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের আহনাফ তাহমিদ নামের সাত বছর বয়সী
এক সন্তান রয়েছে। জন্মের পর থেকেই হৃদ রোগে আক্রান্ত সন্তান
তাহমিদ।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্ত্রী খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম ইলু
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিনে জেলা কালচারাল কর্মকর্তা হিসেবে
চাকুরী পেয়ে বর্তমানে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমীতে কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই অন্য পরপুরুষের সাথে
পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে স্বামী-সন্তানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন
করেছেন।
ডেভিড আরো অভিযোগ করেন, হৃদ রোগে আক্রান্ত সন্তানের উন্নত
চিকিৎসার জন্য বাড়িতে জমাকৃত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাকুরীতে
যোগদানের সময় নিয়ে যায় স্ত্রী খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম ইলু।
এদিকে ওই টাকা চাইতে গেলে সে আমাকে ও আমার সন্তানকে প্রাণে
মেরে ফেলার হুমকি এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী এবং মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী আখ্যায়িত করে সামাজিকভাবে
হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে।
নাহিদুজ্জামান ডেভিড তার লেখিত বক্তব্যে আরো বলেন, তাকে সংসাওে
ফিরিয়ে আনার জন্য চলতি বছর নীলফামারী জেলা জজ আদালতে
দাম্পত্যপূনঃউদ্ধারের একটি মামলা দায়ের করেছি।
এবিষয়ে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম ইলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে
তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী
একজন মাদকাসক্ত। তার অত্যাচার নির্যাতনে আমি সহ্য করে চলছি।
চাকুরী পেয়ে ছেলের ভরন পোষনের খরচও বহন করছি।
গত ১১ দিন থেকে নাহিদুজ্জামান ডেভিড তাকে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে
তার কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে।
এমনকি সন্তানকেও হত্যার হুমকী দিয়েছে।