শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

জঙ্গিরা সামাদের নেতৃত্বেই সংগঠিত হচ্ছিল : সিটিটিসি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ-

রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন তিন জঙ্গির একজন আবদুস সামাদ নব্য জেএমবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তামিম চৌধুরীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিটিটিসি বলছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় নব্য জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা গ্রেপ্তার ও নিহত হলে এই সামাদের নেতৃত্বেই জঙ্গি সংগঠনটি সংগঠিত হয়।

গকতাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুস সামাদ ওরফে আরিফ মামু ওরফে আশিক, তার শ্বশুর জিয়াদুল ইসলাম এবং মো. আজিজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে শিশিরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, তামিম চৌধুরী ও সামাদ কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় প্রায় ডজনখানেক জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। হলি আর্টিজান হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাদই সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

তিনি বলেন, আজিজুল ইসলাম মেহেদী পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই বছর ধরে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। জিহাদি প্রশিক্ষণও সে নিয়েছে। আর সামাদের শ্বশুর জিয়াদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নব্য জেএমবির জন্য অস্ত্র-বিস্ফোরক ও ডেটোনেটর সংগ্রহের পাশাপাশি সংরক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করতেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, দিনাজপুরের সামাদ ২০০২ সালে দাওরাহ হাদিস এবং ২০১১ সালে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। তার মধ্যেই ২০১০ সালে তিনি জেএমবিতে যোগ দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের বরাতে মনিরুল বলেন, ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে মিলে ‘জুনদ আল তাওহীদ আল খিলাফাই’ নামে একটি সংগঠন গড়েন সামাদ। তামিম ছিলেন সংগঠনটির প্রধান, আর সামাদ ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’।

বোমা তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ‘পারদর্শী’ সামাদ সংগঠনের জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতেন বলে মনিরুলের দাবি।

তিনি বলেন, অস্ত্র চালনা ও গ্রেনেড ব্যবহারের বিষয়ে সংগঠনের নবীন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন সামাদ। নব্য জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার ও নিহত হওয়ার পর তার নেতৃত্বে সংগঠনটির কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়।

উল্লেখ্য, গতকালের গ্রেপ্তার-অভিযানে তিনজনের কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ২০০ ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451