অনলাইন ডেস্কঃ-
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি স্মৃতিসৌধে যান। পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনের সড়কে অবস্থান নেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পৃথক পৃথক ব্যানারে খালেদা জিয়ার আগমনের আগ পর্যন্ত মিছিল করেন তারা।এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘অমর বুদ্ধিজীবীগণ দেশের বরেণ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান, যাঁরা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁরা ন্যায়বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজের প্রত্যাশা করেছিলেন।’১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় ও কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী নিধনের স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধূর একটি দিন। বাঙালির মেধা-মনন-মনীষা শক্তি হারানোর দিন আজ।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে এই দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের।