মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:-
যৌতুক লোভী পাষন্ড এক স্বামীর নির্যাতনের শিকার অসহায় শারমিন আক্তার(২৫) শিশু কন্যা নিয়ে ন্যায়
বিচারের জন্য দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া
ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা শারমিন আক্তার তার শিশু
কন্যাকে নিয়ে এসে স্বামী ও তার পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা এই প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শারমিনের পিতার নাম মৃত সাইজুদ্দিন।বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার
গোড়াই ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে।শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর
মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মো. দবির উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান(৩০)
সঙ্গে মুসলিম শরীয়াতের বিধান মতে রেজিঃ কাবিন মুলে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে
নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ন ও আসবাবপত্র নেয় বর পক্ষ।বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের ঘরে এক কন্যা
সন্তানের জন্ম হয় নাম রাখা হয় শ্রাবণী আক্তার।বর্তমান তার বয়স ৬ বছর।শারমিনের স্বামী বিদেশ যাবে বলে
তার পরিবারের কাছে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।মেয়ের শোকের কথা ভেবে তার পরিবার ধারদেনা
করে আরও এক লাখ টাকা তুলে দেয়।স্বামী বিদেশ থাকার সময় তার শ্বশুর দবির উদ্দিন, শ্বাশুরী জুলেখা বেগম ও
আলীম মিয়াসহ বাড়ির লোকজন শারমিনকে অত্যাচার নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে স্বামী শাহজাহান বিদেশ থেকে ফিরে এসে শারমিনের উপর নতুন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে
আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলে তার বাপের বাড়ি থেকে।শারমিন বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে
না পারায় কন্যা শ্রাবণীকেসহ তাকে নির্যাতন করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।শারমিন ও তার কন্যাকে
নিয়ে চরম বিপাকে পরে অসহায় পিতার পরিবার।শারমিনের দরিদ্র পিতার অবস্থা দেখে গোড়াই ইউনিয়ন
পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আদিল খান, এলাকবাসি ও স্থানীয় মাতাব্বরগন যৌতুক লোভী
শাহজাহানের সঙ্গে ঘটনার মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ করেন।এক পর্যায়ে প্রতারক
শাহজাহান আবার পালিয়ে বিদেশ চলে যান। অপর দিকে কন্যার পির্তৃত্বের পরিচয় ও নিরুপায় হয়ে অসহায়
শারমিন আক্তার বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-সি আর-২৯১/২০১৫।মামলায়
আসামীরা হচ্ছে শাহজাহান মিয়া, জুলেখা বেগম, আলীম মিয়া ও দবির উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে
এসে পলাতক অবস্থায় থেকে শারমিন ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলা প্রত্যাহারের
জন্য।ফলে কন্যা সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শারমিন।যৌতুক লোভী শাহজাহান ও অপর
আসামীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে অসহায় শারমিন।