সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নেওয়াশী
গ্রামে স্ত্রীর অনৈতিক পরকীয়া কর্মকান্ড থেকে বাঁচার জন্য ও স্ত্রীকে
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে আইনি হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রদীপ
কুমার পাল বাপ্পি (৪২) নামের এক নিরুপায় স্বামী সংবাদ সম্মেলন
করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় নেওয়াশী বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে
স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পির দুই শিশু কন্যা
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মিষ্টি পাল ও প্রথম শ্রেণির ছাত্রী পূজা পালসহ
স্থানীয়রা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি অভিযোগ করে বলেন, গত
প্রায় ১১ বছর আগে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের
বিশ্বনাথ কুন্ডুর মেয়ে বিথি রানী পালের (২৬) সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সংসার জীবনে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন এই সংসার
জীবন অতিবাহিত হলেও স্ত্রী বিথি রানী পাল সকলের অগোচরে বাড়ির
পার্শ্ববর্তী বোয়ালভীর গ্রামের মৃত-সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে দুই
সন্তানের জনক বকুল চন্দ্র দাসের (৪৭) সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।
বিষয়টি তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে স্ত্রী বিথি রানী
পালকে এই পথ থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর
পরিবারের সদস্যদের তিনি অবগত করাসহ ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে
শালিস বৈঠক করেন। কিন্তু এসব কর্ণপাত না করে ৩/১২/২০১৭ ইং রাতে
স্ত্রী বিথি রানী পাল তার পরকীয়া প্রেমিক বকুলের বাড়িতে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পরকীয়া প্রেমিকের
বাড়ি থেকে স্ত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপরও স্ত্রী বিথি রানী
পাল পরকীয়া প্রেমিকের সংসার করবেন বলে জানান। এতে স্ত্রীর পরকীয়ায়
বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কারনে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক বকুল চন্দ্র দাস
প্রাণনাশের হুমকীসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছেন। এতে প্রদীপ
কুমার পাল বাপ্পি তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান। এ
অবস্থায় তিনি ফুলবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়রির জন্য গেলেও
পুলিশ সেই ডায়রি গ্রহণ করেনি। তবে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার
বরাবর ২০/১২/২০১৭ ইং একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী
প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি আরও বলেন, আমার অবাধ্য স্ত্রীর এই পরকীয়া
প্রেমে আমি ধুকেধুকে মরে যাচ্ছি। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম থেকে আমি
বাঁচতে চাই। এ সময় তিনি তার স্ত্রীকে আইনি প্রক্রিয়ায় বিদায়
জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের
আইনি সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পির পরকীয়া প্রেমে আবদ্ধ স্ত্রী বিথি
রানী পালের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা মূখোমুখী হলে বিথি
রানী পাল স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এ ঘটনায় তার স্বামী প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পির
কোন দোষ নেই। তিনি তার স্বামীর আর সংসার করবেন না। পরকীয়া
প্রেমিক বকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে ঠাকুর ঘরে তার মালাবদল হয়েছে। দীর্ঘ
৫ বছর ধরে বকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেম চলছে। তিনি
আইনিভাবে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক বকুল চন্দ্র
দাসের সংসার করতে চান। এ অবস্থায় কেউ বাঁধা দিলে তিনি
আতœহত্যা করবেন বলে হুশিয়ারী ব্যক্ত করেন।