অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে দলটি।
আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গাইড হাউসে জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ কর্মসূচির কথা জানান।
রিজভী জানান, সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জাসাসের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রিজভী আরো বলেন, সাংস্কৃতিক ঘাটতির কারণেই দেশে আজ অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত গুম-খুনের কারণে সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারছে না বর্তমান প্রজন্ম। দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে বাকস্বাধীনতা, মানুষের চলাচলের স্বাধীনতা, নির্বিঘ্নে বসবাসের স্বাধীনতা, আপনার স্বাধীনতা, আপনার সন্তানের নিরাপত্তা সব কেড়ে নিয়েছে শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘আজকে সকল ধ্বংসের মূলে যে সরকার তার পতন ছাড়া আমাদের আর কিছুই থাকবে না। আমরা আবারও আগামী ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কর্মসূচি নিয়েছি। আপনারা প্রত্যেকেই সেই কর্মসূচি সফল করার চেষ্টা করবেন। আমরা পুলিশকে চিঠিও দিয়েছি, আমরা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ফলে নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১৫৩টি আসনে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ জন সংসদ সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। এর আগের সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল বিএনপি।
এরই একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে টানা হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচির ডাক দেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর টানা ৯৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সময়ে খালেদা জিয়া গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করেন।