মোঃ আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছরে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক বরণে প্রস্তুত এখন শ্রীমঙ্গল। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনেরপক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠানমালা।
পর্যটকের মিলনমেলা। ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সোমবার দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটক ২০১৭ সালকে বিদায় ও ১ ডিসেম্বর সোমবার ২০১৮ সালকে বরণ করবেনয়নাভিরাম শ্রীমঙ্গল। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে শহরে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
৩১ ডিসেম্বর হবে ইংরেজি বর্ষ ২০১৭ সালের শেষ দিন। ২০১৭ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বর্ষ ২০১৮ সালকে বরণ করতে ইতিপূর্বে বিপুল পর্যটক এখন শ্রীমঙ্গলে অবস্থান করছেন।ডিসেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে চায়ের দেশ সিলেটের শ্রীমঙ্গলে বিপুল দেশি-বিদেশি পর্যটক পৌঁছেছে।
আজ-কালের মধ্যে লাখো পর্যটক শ্রীমঙ্গলে পৌঁছবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গলে হোটেল-মোটেল, রেস্ট-গেস্টহাউসগুলো বুকিং হয়ে গেছে মাস খানেক আগে থেকেই।
হোটেল মালিকরা জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচি শিথিল থাকায় এক সপ্তাহ ধরে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। হোটেল-মোটেল জোনের ৩ শতাধিক আবাসিক হোটেলের সব কক্ষইতিপূর্বে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
এ বছর আগত পর্যটকের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে জানানযায়। শ্রীমঙ্গল ব্যাপক অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক আবাসিক তারকা মানের হোটেল-মোটেল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গলে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন পুলিশ সদস্য রয়েছে।ট্যুরিস্ট পুলিশেরপাশাপাশি র্যাবের টহল থাকবে।