টি.আই সানি,গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে ভূত আতংকে
প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক জ্ঞান হারিয়েছে। ০১ জানুয়ারি
২০১৮ রাত ১১টার সময় উপজেলার ধনুয়া মধ্যপাড়া এলাকার রিদিশা
ফুট এন্ড বেভারেজ বিস্কুট কারখানায় ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক ভাবে
কারখানা কর্তৃপক্ষ সংজ্ঞাহীন শ্রমিকদের তাদের নিজস্ব নিটেক্স
হাসপাতালে ভর্তি করে।
শ্রমিকরা জানায়, নবনির্মিত ভবনের ২য় তলায় ফিটিং সেকশনের
নাজমা আক্তা (১৯),মাজেদা খাতুন (২০),আম্বিয়া
খাতুন(১৯),প্রিয়া আক্তার (১৮)। রাত ১১টার দিকে বাথরুমে গিয়ে
হঠাৎ ভূত আতঙ্কে চিৎকার দেয়। অন্যান্য শ্রমিকরা দৌড়ে গিয়ে
দেখে নাজমা বাথরুমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। এরকম
প্রতিদিনই কেও না কেও অজ্ঞান হচ্ছে। ০২ জানুয়ারি মাজেদা
খাতুন ভূতের ভয়ে কারখানা চেড়ে চলে গেছে।
নাজমার এ অবস্থা দেখে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে আরো
কয়েকজন জন জ্ঞান হারায়। কারখানার এইচ আর অফিসার এরশাদ
জানান, নাজমার চিৎকার শুনে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে শ্রমিকরা অসুস্থ্য
হয়ে পড়ে। ম্যানেজার (প্রশাসন) ক্যামি জানান, অসুস্থ্য হয়ে পড়া
শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকদের শারীরিক,
মানষিক দূর্বতলার কারণে এমনটি হতে পারে বলে তিনি ধারনা
করছেন।
কারখানার এড মিন ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন,এই ভূত
আতংকে কথা আমিও শোনেছি,কিছু দিন আগেও এরকম এক জন
শ্রমিক নাজমা অসুস্থ হয়েপরে পরে সেই শ্রমিক রিওমার্ক
ছড়িয়েছে যে সে মারা গেছে,অথচ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং
সেই শ্রমিকম নাজমা অফিসে ডিওটি করেন,পরে ০১ জানুয়ারি
২০১৮ ইং তারিখে বেতন নিয়ে চলে যায়। আসলেই এটা একটি
আতংক,রিওমার্ক এছারা আর কিছুনা। অনেক সময় শ্রকিকেরা
নিজেরাই প্লান মাফিক এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: মইনুল খান
জানান, ম্যাস-সাইকোলজিক্যাল ইলনেস বা একসাথে ভয় পেয়ে
অসুস্থ্য হওয়ার ঘটনা এটি। তবে এখন পর্যন্ত এরকম রোগী
আমাদের হাসপাতালে আসেনি।
শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, কারখানায় এই ধরনের কোন
দূর্ঘটনা ঘটে নি। ভৌতিক ভয় থেকে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক
ছড়িয়ে এমনটি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। অনেকেই মনে
করছেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বিরামহীন
কাজের চাপে এমন হতে পারে।