মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে ভুল চিকিৎসার কারনে স্ত্রী
হয়েছেন অন্ধ, ১৭ লাখ টাকা চিকিৎসা ব্যায়ে নি:স্ব হয়েছেন আব্দুস সালাম।
বিচারাধীন আছে মামলা। আজ (৬ জুন) দুপুর ১২দিকে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম জানান, গত বছরের ২৭ মে
মৌলভীবাজার শহরের আইকন মেডিকেল সার্ভিসেসে কোমরের ব্যাথ্যার জন্য ডা:
তারেক আহমেদকে দেখান লুবনা খানম।
ডা: তারেক রোগীকে দেখে কিছু প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট দেন যা আইকন মেডিকেল
সার্ভিসেসে করান এবং এই রিপোর্ট দেখে ডা: তারেক ব্যাবস্থাপত্রে ঔষধ লিখে
দেন। ঔষদ খাওয়ার পর দিনে দিনে লুবনা খানমের শরীরের ভিবিন্ন স্থান ফোলে
যায়। ১৩ জুন আবার ডা: তারেককে বর্তমান অবনতি জানাতে রোগীসহ আইকন মেডিকেল
সার্ভিসে যান লুবনার স্বামী আব্দুস সালাম, ডা: তারেক আবারো ঔষধ লিখে দেন।
অবস্থার আরো অবনতি হলে ১৬ জুন পুরনায় পুর্বের ব্যবস্থাসহ রোগীকে নিয়ে
চেম্বারে আসেন। সে দিন ডা: তারেক জানান লুবনা খানম ভাইরাসে আক্রান্ত ঔষধ
চালিয়ে গেলে কমে যাবে কিন্তু পুরনরায় ঔষধ খাওয়ার পর লুবনা আক্তারের
অবস্থার চরম অবনতি হয়, খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এমতা অবস্থায় ২০ জুন শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে ডা: রাজাউল করিম মীর রোগী দেখে “চিকেন ফক্সে” আক্রান্ত মর্মে
ব্যাবস্থা পত্র দেন কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি উলটা লুবনা আক্তারের ২
চক্ষু ও শরীরের ভিবিন্ন অংশ দিয়ে চামড়া ফেটে রক্তপাত হতে থাকে সেই দেখা
দেয় পচন। এমতা অবস্থায় ক্লিনিক কতৃপক্ষ ডা: স্বপন কুমার সিংহা ২ দিন
ক্লিনিকে চিকিৎসা করেন। এতেও অবস্থার উন্নতি না হয়ে আরো অবনতি হওয়ায় ডা:
রেজাউল করিম এবং ডা: স্বপন কুমার সিংহা ২৩ জুন রাতে “চিকেন ফক্স” মন্তব্য
সহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
ওসমানী হাসপাতালে গেলে তারা “চিকেন ফক্সের” রোগী ভর্তি না নেওয়ায় পরেন
দিন শাহী ঈদগাহ এলাকায় “সরকারী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করেন
লুবনা খানমের স্বামী আব্দুস সালাম। সেখানকা ডাক্তার রোগীর পরীক্ষা
নিরীক্ষা করে “ড্রাগ রি-এ্যাকশন” এবং অবস্থা আশংকাজনক মর্মে ছাড়পত্র দিয়ে
এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন সেখানে দীর্ঘ ১ মাস ৯ দিন চিকিৎসা
করানোর পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় কিন্তু দৃষ্টি হারান লুবনা খানম।
পরে চুখের চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার বিএনএসবি তে নিয়ে আসলে তারা রোগীর
শরীরের অবস্থা খারাপ দেখে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকায় ইসলামিয়া
চুক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান আবার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট
ওসমানী হাসপাতে নিয়ে আসেন, পরে আবারো ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে
যান।
সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি ঢাকা ভিশন চক্ষু হাসপাতালেও চিকিৎসা করান তবে
কোথাও হারানো দৃষ্টি ফিরে পাবার আশ্বাস পাননি। এখনো লুবনা আক্তার
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের তত্ব্যাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পরবর্তীতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ডাক্তারদের
বিরোদ্ধে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমল আদালতে একটি
মামলা দায়ের করেন লুবনা আক্তারের স্বামী আব্দুস সালাম (পিটিশন নং-৬৮০/১৭)
সংবাদ সম্মেলনে লুবনা আক্তারের স্বামী লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, দীর্ঘ
দিনের চিকিৎসায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করে বর্তমানে নি:স্ব স্বামী আব্দুস
সালাম, সাথে সাথে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছেন স্ত্রী লুবনা
আক্তার।
অভিযোগ বিষয়ে, ডাক্তার তারেক আহমেদদের কাছে বাংলার প্রতিদিন থেকে জানতে
ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করের নি।