লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামে পর পর ৩ কনে সন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূ সাজু আক্তার (৩৫)কে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানান, পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের নাপিত বাড়ির মৃত হাবীব উল্যাহ ছেলে আব্দুল মালেক প্রায় ১৬ বছর আগে প্রেম করে পাশ্ববর্তী গ্রামের প্রতিবন্ধী টুকা মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের পরেই পর পর ৩ টি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় শ্বামী আব্দুল মালেক স্ত্রী সাজেদা আক্তার সাজুকে কয়েকবার শ্বাসরোধে ও খাদ্য দ্রব্য বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। নির্যাতনের ঘটনাটি অভিবাবক ও গ্রামবাসিকে জানালে পাষান্ড শ্বামী আব্দুল মালেক স্ত্রী সাজেদা বেগমকে আগুনের ছিঁকা ও দফা দফা বেত্রাঘাত দিয়ে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। সৃষ্ঠ ঘটনায় গ্রামবাসি একাধিক সালিশি বৈঠক বসলেও কোন সুরাহ হয়নি।
সাজেদা আক্তার সাজু বলেন, তার বিয়ের পরেই বাবার দেওয়া ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শশুর বাড়িতে বসত ঘর নির্মান করেছি। তৃতীয় মেয়েটি ভ’মিষ্ঠ হওয়ার সংবাদ পেয়ে মালেক চট্রগামে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করে এবং বছর যাবত সন্তান সহ আমাদেরকে খোঁজ নেয়নি। শিশু সন্তানদেরকে বুকে নিয়ে আমি ভিক্ষা করে জির্বিকা নির্ভর করছি। মঙ্গলবার বিকেলে সৎ বাসুর আব্দুর রহমান আমার বসত ঘরের মালিকান দাবী করে আমাকে সহ ৩ কন্যা সন্তানকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঘরের পাশে ৩টি সুপারী গাছ থেকে সুপারী নিয়েও যায়।
আব্দুর রহমান জানান, ছোট ভাইয়ের পৈত্তিক সম্পত্তি আমার কাছে বিক্রয় করছে। সাজেদা তার তালাক দেওয়া স্ত্রী।
ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভ’ইঁয়া ও মেম্বার খিজির আহম্মদ বলেন, কনে সন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতন,৩টি কনে শিশুর বরন-পোষন দেয়নি। গোপনে বসত ঘরসহ সম্পত্তি বিক্রয় ও স্ত্রী তালাকের বিষয়টি বেইনী বলে স্বীকার করছে।