মোহম্মদ মোজাম্মেল হক,মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:- বিদ্যালয়ের কয়েকজন বখাটে ছাত্র ও
বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলে ক্লাসে ঢুকে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে আটকিয়ে
জোরপুর্বক পাশবিক নির্যাতন করেছে।ঘটনার পর বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও
উত্তেজনা বিরাজ করছে।প্রভাবশালী মহল,বখাটের চাপ এবং হুমকির মুখে নির্যাতিত অসহায় ঐ
ছাত্রীর পরিবার পুলিশকে অবগত বা আইনের কোন আশ্রয় নিতে পারছে না বলে অভিযোগ
উঠেছে।ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বরাটি নরদানা
বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে(বরাটি উচ্চ বিদ্যালয়) এ অমানবিক নির্যতনের এই ঘটনা ঘটেছে।আজ
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন
মল্লিক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের অদক্ষতাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে ঐ বিদ্যালয়ে
প্রতিনিয়তই বিভিন্ন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে আসছে।ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ দিন দিন
ভেঙ্গে পরেছে।গত মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নবম শ্রেণীর ঐ ছাত্রীকে নির্যাতনের এ
ঘটনা ঘটে।ঘটনার মুলহোতা হচ্ছে উপজেলার শুভুল্লা গ্রামের রুবেল(১৬), সবুজ(১৫),
সাব্বির(১৫), সাইম হোসেন(১৭), শাকিল(১৬), আসাদ(১৬) ও আসাদ(১৬)সহ ১০-১২ জন
বখাটে।নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে উল্লেখিত ছাত্র ও
বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলে উফুল্কী গ্রামের নিরীহ ও অসহায় হবিবুর রহমানের কন্যা নবম
শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ঐ ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছে।ঘটনার
মুলহোতা হচ্ছে সন্ত্রাসী ও বখাটে রুবেল।তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।রুবেল
বিভিন্ন সময় ঐ ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ নানা কু-প্রস্তাব দিলেও ছাত্রী তাদের প্রস্তাবে রাজি
না হওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়।গত মঙ্গলবার দুপুরে রুবেলের নের্তৃত্বে ১০-১২ জন
সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ঢুকে দেশীয় অস্ধেসঢ়;্রর মুখে ঐ ছাত্রীকে অবরোদ্ধ করে
শ্লিলতাহানীসহ পাশবিক নির্যাতন করে।ছাত্রীর আর্তচিৎকারে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা এগিয়ে
এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার বিদ্যালয়ে এসে তাকে উদ্ধার
করে নিয়ে যায়।ঘটনার পর ঐ ছাত্রী লোক-লজ্জা ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে।একটি প্রভাবশালী মহল বখাটের পক্ষ নিয়ে ঘটনা মিমাংশার চেষ্টা করচে
বলে জানা গেছে।এদিকে বখাটের চাপ ও হুমকির মুখে নিরীহ পরিবারটি আইনের কোন আশ্রয়ও
নিতে পারছে না।ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নির্যাতিত ছাত্রীর
পরিবার বখাটে ঐ সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রীর অভিভাবকও ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অভিভাবকদের
সঙ্গে মিমাংশার চেষ্টা করা হয়েছে।ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার
পর বখাটের পিটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন বলেন, পুলিশের মাধ্যমে এই
ঘটনায় বখাটের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।