শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি
আফরোজা আক্তার (২০) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার
গলদাপাড়া গ্রামের আকবর আলী শেখের মেয়ে। সোমবার পেটের
ব্যাথা নিয়ে মাওনা চৌরাস্তার একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন।
অবশেষে, চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আফরোজার
পিত্তথলিতে পাথরের উপস্থিতি পায়। মঙ্গলবার অস্ত্রোপ্রাচার শেষে
একটি বা দুটি নয় প্রায় দেড় শতাধিক পাথর বের করে আনেন
চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপ্রচারের পর সে এখন সুস্থ আছেন বলে
জানা গেছে। তবে, এমন ঘটনা দেখে চিকিৎসকের চোখ তো
ছানাবড়া।
আফরোজার বড় ভাই সুলতান শেখ জানান, প্রায় তিন মাস যাবত
পেটের ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন আফরোজা অনেক ডাক্তার চিকিৎসক
পরামর্শ নিয়েও ভাল হয়নি, বরং দিন দিন তাঁর পেটের ব্যাথা
বাড়তে থাকে। অবশেষে সোমবার পেটে অতিরিক্ত ব্যাথা অনুভব
হওয়ায় শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার মাওনা সিটি
হাসপাতালে চিকিৎসরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানায়, সে
গলবøাডার রোগে আক্রান্ত, তাঁর পিত্তথলিতে পাথর জমে আছে।
পরে মঙ্গলবার অস্ত্রোপাচার শেষে ছোট-বড় মিলিয়ে আফরোজার
পিত্তথলি থেকে শতাধিক পাথর বের করে আনেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক জানান,
অস্ত্রোপচারের পর তিনি নিজেই কতৌহল বশত পাথর গুনে ১৩৫ টি
ছোট বড় পাথরের অস্তিত্ব আবিস্কার করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেলারেল সার্জারী
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোস্তফা জাহিদ কামাল (বিপু)
জানান, তিনি নিজে এই রোগীর অস্ত্রপচার করেছেন।
পিত্তথলীতে পাথর আছে জানা ছিল তবে এত পাথর বের করে আনা
এটা তার চিকিৎসক জীবনে প্রথম।