অনলাইন ডেস্কঃ-
নিজের শরীরে লুকিয়ে অবৈধভাবে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল বহন করায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সোবহান শেখ। তিনি নিজের জুতায় ও শরীরে বিশেষভাবে লুকিয়ে এই বিদেশি মুদ্রা বহন করে বাংলাদেশে আনছিলেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
এ সময় মো. সোবহান শেখের কাছ থেকে তিন লাখ ২৭ হাজার মূল্যমানের সৌদি রিয়াল উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৭২ লাখ ৬২ হাজার ৬৭০ টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোবহানের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছিল। ইমিগ্রেশন পরবর্তী ৭ নম্বর বেল্ট এলাকা থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দারা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন। প্রথমে বৈদেশিক মুদ্রা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তাঁকে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে রাত ১টার দিকে সোবহানের জুতা ও শরীর তল্লাশি করে তাঁর কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এসব মুদ্রা তাঁর জুতার ভেতর ও শরীরে বিশেষভাবে লুকানো ছিল। শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারি এড়ানোর লক্ষ্যেই তিনি এই বিশেষ পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান সোবহান।
গ্রেপ্তার যাত্রীর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। তিনি ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটের একটি বিমানে করে মালয়েশিয়া থেকে আসছিলেন। তাঁর পাসপোর্ট অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এই মাসেই একই রুটে তিনবার এবং ২০১৭ সালে সাতবার ভ্রমণ করেছেন তিনি।
সর্বশেষ গত ২৫ জানুয়ারি রাতে মালয়েশিয়ায় যান সোবহান। তবে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। পরে গতরাত ১০টায় ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে সোবহান শেখ স্বীকার করেছেন যে, সোনা কেনার উদ্দেশ্যেই তিনি এসব মুদ্রা অবৈধভাবে বহন করছিলেন। এর আগেও চারবার মুদ্রা বহন করে সোনা চোরাচালান করেছিলেন তিনি। এসব চোরাচালানের সোনা তাঁতীবাজারে মিন্টু ঘোষ ও শাহজাহান নামের দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রির কথাও জানিয়েছেন সোবহান।
ঘোষণা ছাড়া বিদেশি মুদ্রা বহন এবং লুকানোর কারণে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ হওয়ায় সোবহান শেখকে শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।