বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

পাঁচবিবির কচুর লতি এখন দেশ বিদেশে!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ অালী হাসান(নয়ন)
পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ 
লতিরাজ কচু জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সেই সাথে কচুর লতি এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। অন্যান্য সবজি চাষের চেয়ে কম অর্থ বিনিয়োগে বেশি লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর এ চাষ বাড়ছে। পাঁচবিবির কচুর লতি কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,
অস্টেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, র্জামানি, ডেনর্মাক,সুইডেন,ও মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে এ অর্থকারী ফসল থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে দারুণ অবদান রাখছে।
আর অল্প সময়ে কচুর লতি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন পাঁচবিবির কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে কচুর লতি আবাদ করছে।
আর লতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। প্রতি বিঘা জমিতে হাল চাষ, শ্রম, সেচ, গোবর, ডিএপি, পটাশ, জিপসাম, ইউরিয়া বাবদ ১৮-২২ হাজার টাকা খরচ হলেও, প্রতি বিঘাতে কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে-৭০-৮৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৩-৪ হাজার কেজি কচুর লতি পেয়ে থাকে কৃষকরা। এতে কৃষকদের ভাগ্য অনেকটাই বদলাতে শুরু করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধনঞ্জি, স্লুইচ গেট, শিমুলতলী, আয়মারসুলপুর, বালিঘাটা, কড়িয়া, বেলপুকুরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাটাবুকা গ্রামের কৃষক মৃত অমির উদ্দিনের প্রথম উদ্ভাবিত এ লতি শুরুতে ২-১জন কৃষকের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে তা দ্রুত বাণিজ্যিক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এ কচুর লতি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পাঁচবিবি উপজেলার এ কচুর লতি এখন জয়পুরহাট সদর, দিনাজপুর, বিরামপুর, নওগাঁর বদলগাছী, যশোরসহ অন্যান্য ২-১জেলার উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন হচ্ছে। পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের সফল লতি চাষি আবেদ আলী জানান, এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬
মাস এ পুরো মৌসুম হলেও সারা বছর এর ফলন পাওয়া যায়। লতির পাইকার মুমিন ও রনি বলেন পাঁচবিবি বটতলীতে এ লতির বাজার থেকে সিজন টাইমে প্রতিদিন ৬০-৭০ টন লতি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন তারা। বর্তমান কৃষকদের কাছ থেকে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি লতি
২৫-৪০ টাকা দরে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পাঁচবিবিতে উৎপাদিত কচুর লতির প্রধান পাইকারী বাজার ঢাকার কারওয়ান বাজার।
এছাড়া যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, বাইপাইল, টাঙ্গাইল, দৌলতপুর, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়, দিনাজপুর,বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে যাচ্ছে পাঁচবিবির কচুর লতি। পাঁচবিবি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান বলেন, কচুর লতি চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগীতা করে যাচ্ছি। পাঁচবিবির কচুর লতি অনেক সুস্বাদু। এ জন্য এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451