জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পরও তিন আসামিকে মুক্তি না দেওয়ার বিষয়ে দুই জেল সুপারসহ তিনজনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে হাই কোর্ট।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুনকে আগামী সোমবার লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েংছে।
আসামিপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন হাই কোর্ট সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন আদালতে উপস্থিত হন। আসামিরা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালাও আদালতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ তাদের লিখিতভাবে জবাব দাখিল করতে বলেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী রুহুল আমিন ভূইয়া, আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও মো. ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। জেল সুপারদের পক্ষে ছিলেন ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।
পরে মো. ইউসুফ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনজন মৌলিকভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। আদালত তাদের বক্তব্য ১৩ জুন লিখিতভাবে দিতে বলেছে। যেহেতু হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি, ফলে তাদের ওইদিন হাজির হতে হবে।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ওইদিন গিয়াসউদ্দিন, আমিনুর রহমান, ওসমান গণি, আবুল হাশেম ও শাহাদাতুর রহমান ওরফে সোহেল গ্রেপ্তার হন।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে আসামিরা উচ্চ আদালতে যান। ৮ মে হাই কোর্ট পাঁচজনকে ছয় মাসের জামিন দেয়।
আসামিপক্ষের এক আইনজীবী জানান, উচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পর জামিননামা ১৬ মে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে। ১৮ মে আবুল হাশেম ও শাহাদাতুর মুক্তি পেলেও অন্য তিনজন মুক্তি পাননি।
এ অবস্থায় তিনজনের ক্ষেত্রে ৮ মে হাই কার্টের দেওয়া আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়, যার ওপর শুনানি নিয়ে ৫ জুন হাই কোর্ট তলবের আদেশ দেয়