অনলাইন ডেস্কঃ-
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে শনিবারও রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের কাছ থেকে মিছিল বের করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে পুলিশের লাঠিপেটায় মিছিলটি খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবীউল্লাহসহ ২৫ জনকে আটক করা হয়।
শনিবার বেলা দেড়টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের হাউস বিল্ডিংয়ের গলি থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক। দৈনিক বাংলা মোড়ে আসার পর মিছিলে যোগ দেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ দলের আরও নেতা-কর্মী। ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে আসার পর মিছিলে নেতা-কর্মীর সংখ্যা আরও বাড়ে। মিছিলটি পানির ট্যাংক অতিক্রম করে ২০ গজ পেরুনোর পর পুলিশ পেছন দিক থেকে ধাওয়া দেয়। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েকজনকে আটক করে।
এদিকে বিজয়নগর থেকেও একটি মিছিল বের হলে সেখান থেকে নগর বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামিকে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড।
বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করে আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায়ের প্রতিবাদে শুক্র ও শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।