আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর
পার্বতীপুরে উত্তর সালন্দার কাচারী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের অপসারনের
দাবীতে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে অভিভাবকদের ডাকে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ
সভায় মোহসীন আলীর সভাপতিত্বে মোঃ মজিবর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক
কর্মকর্তা মকবুল হোসেন, মছিরউদ্দিন, জিয়াউর রহমান,ডা. ম. ফজলুল হক,
হাফেজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা প্রমূখ অভিভাবকবৃন্দ বক্তব্য দেন । এসময়
তারা বলেন, সুপার মমতাজ আলীর অযোগ্যতা, অবহেলা ও সীমাহীন
দুর্নীতিতে প্রতিষ্ঠানটির করুন অবস্থার অন্যতম কারণ। তিনি নিয়মিত
মাদ্রায় আসেননা। তাকে অনুসরন করে অন্য ১৩ সহকারী শিক্ষকরা ফাঁকির
সুযোগ পেয়েছে। মাস গেলে তারা নিয়মিত বেতন উত্তোলন করেন ঠিকই,
তবে পাঠদানে উদাসীন। এমন অবস্থায় মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী শূন্যের কোঠায়
। তিনি স্থানীয় পলিটিক্সে জড়িত হয়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতির
নামে চাঁদাবাজির মামলা করে গনরোষে আত্মগোপন করেছেন । এসব কারনে
মাদ্রাসা রক্ষায় তাকে অপসরন করে নতুন সুপার নিয়োগের তারা দাবী
জানিয়েছেন । প্রতিবাদ সভার সূত্রধরে আজ রবিবার বেলা ১১ টায়
মাদ্রাসায় এসে সুপারের দেখা মিলেনি। এবতেদায়ী থেকে দশম শ্রেনী
পর্যন্ত ৩০ জনের মত স্টুডেন্ট মাদ্রাসায় এসেছে। সুপারের চেম্বার খোলা।
চোখে পড়ে শিক্ষক হাজিরা রেজিষ্টার । সেখানে সুপারসহ অনান্য শিক্ষকদের
ধারাবাহিক স্বাক্ষর নেই । শিক্ষকরা জানায়, তিনি নিয়মিত আসেননা ।
আসলে গোটা মাসের স্বাক্ষর একদিনে দেন। এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর
দীর্ঘ সময় ধরে পকেট কমিটি করে টিকে আছেন । অবৈধ পস্থায় দাখিল
স্তরের স্বীকৃতির মেয়াদ বৃদ্ধি করে অবৈধ সুবিধা ভোগ করেছেন বলে
অভিযোগ করা হয়েছে । এমনকি গর্ভনিং বডির যোগসাজসে ২০১১সালে
আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে ভূয়া নির্বাচনী
বোর্ড সাজিয়ে জনৈক আজিজুল হককে নিয়োগ দিয়ে যোগদান
ঝুলিয়ে রেখেছেন । গত বছর পাঠ্যবই বিক্রিসহ অনান্য গুরুতর অভিযোগে
তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় । বিভিন্ন কায়দা কৌশল ও ম্যানেজ করে
পুনরায় চাকুরীতে যোগ দেন । অভিযোগের বিষয়ে
মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সুপারকে পাওয়া যায়নি।