বাংলার প্রতিদিন ডটকমঃ-
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন,মিয়ানমারের উসকানি সত্ত্বেও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে বিজিবি।
আজ রোববার সকালে পিলখানা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবিপ্রধান।
আবুল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজিবি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। তবে মিয়ানমার ১৮ বার এপিসি হেলিকপ্টারে সীমান্ত সীমারেখা লঙ্ঘন করে, যা অন্যান্য রাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে। আমরা সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছি বলেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে কোনো দোষারোপ করতে পারেনি মিয়ানমার। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তে ছিটমহল ও জনসংখ্যাগত কিছু সমস্যা ছিল তা অধিকাংশই সমাধান হয়েছে। শুধু মুহুরির চর নিয়ে একটা ঝামেলা রয়েছে। আমরা সেটাও মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।’
বিজিবির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, সীমান্তে নিরাপত্তা প্রদানে বাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও সীমান্ত অপরাধসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দেশের সীমান্ত যেকোনো সময়ের চেয়ে সুরক্ষিত উল্লেখ করে বিজিবির ডিজি আবুল হোসেন বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য রাডার ও সেন্সর স্থাপন করা হবে। এসবের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের (বিওপি) মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনেছি। কুইক রেসপন্স ফোর্স গঠন করেছি। মোবাইলটহলও বাড়িয়েছি।’
নারী ও শিশু পাচার আগের চেয়ে কমেছে উল্লেখ করে বিজিবি প্রধান বলেন, বর্তমান সরকারের আধুনিকায়নের ফলে বিজিবি একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর এটা সম্ভব হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের আরো কিছু সময় দিন, আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করতে পারব। সেজন্য সবার ঐকান্তিক চেষ্টা, সহযোগিতা ও পরামর্শ দরকার।’