শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৪০০ বার পড়া হয়েছে
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

অনলাইন ডেস্কঃ-

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে রোববার গুলশানে ২০ দলের বৈঠকে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন জোটের নেতারা। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে মুক্ত করেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোট।

আর তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ২০ দলীয় জোট। সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানিয়েছেন জোটের একাধিক নেতা।

২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা একটি যুগপৎ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিকে। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ নেব আমরা।’ তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া জিয়াকে সাজা দিয়েছে। যাতে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। তবে সরকার যত চেষ্টা করুক ২০ দল খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা কোনো ভোটও হতে দেবে না।

সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এতদিন আমরা নিজ নিজ দলের পক্ষে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছি। তবে এখন থেকে জোটগত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি নিরপেক্ষ ও সহায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের আন্দোলনও চলবে।’

জোটের আরেক শরিক দল লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা। এজন্য বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষ থেকে যেসব কর্মসূচি দেয়া হবে তা সমন্বিত ভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’

জোটের এ নেতা বলেন,  খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচনের বাইরে রাখতে ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ২০ দলীয় জেট সরকারে কোনো ফাঁদে পা দেবে না। জোট নেত্রীকে মুক্ত করেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে।

লেবার পার্টির সভাপতি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোটের বাইরে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ২০ দল। এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গঠন করে সব দলের অংশ গ্রহণে নিরপেক্ষ সরাকরের অধীনে ভোট দিতে বাধ্য করা হবে বর্তমান সরকারকে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিই ২০ দলের কর্মসূচি। বিএনপি জোটের প্রধান, সুতরাং যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেগুলো জোটগতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া শরিক দলগুলো কোনো কর্মসূচি নিলে বিএনপিও তাতে অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সবার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা। তাঁকে মুক্ত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তার সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলনও চলবে।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেকেয়ারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সাজার তিনদিন পর আদালতের নির্দেশে তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451