নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
ঢাকার আশুলিয়া থানার জামগড়া বেরুণ এলাকায় ইষ্টার্ণ হাউজিং ও নেক্সট কালেকশন লিঃ দুই
কোম্পানীর জমি দখলকে কেন্দ্র করে অসহায় একটি পরিবার তাদের বাড়ি, ঘর ও দোকানপাট ছেড়ে
রাস্তায় নেমেছেন, তাদের দাবি, তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর
জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় ও আশুলিয়া থানার সাধারণ ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোস্তফা
কামাল দিয়াখালী মৌজার ৮ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি ঘর করার পর নেক্সট কালেকশন ফ্যাক্টরীর পক্ষে ওই
জায়গা জমি ও বাড়ি ঘর দখল করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তারা। এলাকাবাসি বলছে,
মোস্তফা কামাল ইষ্টার্ণ হাউজিং এর জমি একজন ব্যক্তির হাত বদলে কিনেছেন, সেখানে অনেক
টাকা পয়সা খরচ করে বাড়ি, ঘর ও দোকানপাট নির্মাণ করার পর দুই কোম্পানীর জমি নিয়ে
ঠেলাঠেলিতে এক পর্যায়ে নেক্সট কালেকশন নামক কোম্পানী ওই জমির স্থাপনাসহ জবর দখল করে
সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন। এর কারণে অসহায় পরিবারটি বর্তমানে বাধ্য হয়ে রাস্তায়
নেমেছেন, খেয়ে না খেয়ে, অনাহারে, অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
১৫/০২/২০১৮ইং উক্ত ব্যাপারে ইষ্টার্ণ হাউজিং সাভার এর ম্যানেজার আসাদ উল্লাহ সরকার
সাংবাদিকদের জানান, কোম্পানী জমি বিক্রি করেছে স্থানীয় রোমান ভুঁইয়ার কাছে, সেই
জমি আবার মোস্তফা কামাল ক্রয় করেন, এতে কোনো সমস্যা ছিলো না কিন্তু নেক্সট কালেকশন এর
বেলাল সাহেব তাহার লোকজন নিয়ে ইষ্টার্ণ হাউজিং এর জমি মোস্তফা কামাল রোমান সাহেব
এর কাছ থেকে ক্রয় করে স্থাপনা করেন তখন কেউ বাঁধা দেননি। অসহায় ব্যক্তি মোস্তফা যখন বাড়ি
ঘর ও দোকান সির্মাণ করে বসবাস করছিলেন, হঠাৎ একদিন তার ওই জমি দখল করে সাইনবোর্ড
লাগিয়েছেন বেলাল সাহেব। এ ব্যাপারে নেক্সট কালেকশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন
এর মোবাইল নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
সুত্রে জানা গেছে, নেক্সট কালেকশন ও ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ কোম্পানীর সাথে জমি নিয়ে
অনেক আগে থেকেই জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে, যাহার এস, এ, খতিয়ান ২৯৮ ও আর এস,
খতিয়ান ৪১১। এলাকাবাসীর প্রশ্নঃ অসহায় পরিবার কি দোষ করেছে, যে টাকার বিনিময়ে জমি
ক্রয় করে সেখানে বাড়ি ঘর করেও কোনো ভাবে সেখানে বসবাস করতে পারছেন না কেন তারা ?
উক্ত দুই কোম্পানী কি করবে তা না দেখে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে
আইনের মাধ্যমে যে জমি পাবে তাকে দেয়া হলে ভালো হয় বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সাথে
অসহায় পরিবারের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয়াটা মানবিক।