ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া
উপজেলায় বিসিআইসি সার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নীতিমালা ভঙ্গসহ খুচরা
সার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বিসিআইসি’র
অনুমতি ডিলার ১৪টি। উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে খুচরা সার বিক্রেতা
ডিলার ১২৬টি। অথচ ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে খুচরা বিক্রেতা ডিলার ৯জন
থাকলেও তন্মধ্যে ৬জনই পৌর শহরে সার বিক্রয় করে আসছে। সরেজমিনে
গিয়ে দেখা যায়, বাবুল, ইমদাদুল, ইমরুল কায়েস, মোশারফ হোসেন,
সিরাজুল ইসলাম গংদের বিসিআইসি কর্তৃক খুচরা সার বিক্রেতা
ডিলার হিসেবে লাইসেন্স প্রদান করলেও ইউনিয়নে তাদের কোন সার বিক্রয়
কেন্দ্র নেই।
একাধিক ভোক্তভুক্তি কৃষক জানান, সরকার তাদেরকে ইউনিয়নে খুচরা সার
বিক্রয়ের লাইসেন্স দেয়। অথচ ডিলারগণ নিজে ব্যবসা না করে অধিক
মুনাফার আশায় লাইসেন্স ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের বাণিজ্য চালিয়ে
যাচ্ছে। এতে কৃষকগণ ওয়ার্ড পর্যায়ে খুচরা সারের দোকান না থাকায়
সার পেতে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এমনকি বিসিআইসির অনুমতি প্রাপ্ত
ডিলারের ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে কোন সারের গুদাম ঘর নেই।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবগত করার পরও অভিযুক্ত খুচরা ডিলাদের
বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সার নিয়ে
এসে ৬ জন ভাড়াকৃত ডিলার পৌর শহরে বিক্রি করে। ফুলবাড়ীয়া পৌরসভাস্থ
হাজী রোডে ভাড়াকৃত ডিলার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ সারোয়ার
হোসেন সার বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই নয় ইউনিয়ন পর্যায়ের লাইসেন্স
ইউনিয়নেও ভাড়া দিয়েছে। ফলে সার বিক্রেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
এমনকি নীতিমালা লঙ্গন করে একই ওয়ার্ডে একাধিক ব্যক্তির নামে লাইসেন্স
দেওয়া হয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া পৌরশহরের একাধিক সার বিক্রেতারা জানান, বিসিআইসি
নীতিমালা আইন ভঙ্গ করায় মনিটরিং এর মাধ্যমে অতিশীঘ্রই তাদের লাইসেন্স
বাতিল করার দাবী জানায় কৃষকগণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছাঃ নাসরিন আক্তার বানু
সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।