গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধায় বন্যার পানি নামতে
শুরু করলেও বন্যা কবলিত সাঘাটা উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৪৮টি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান এখনও অনেক বিদ্যালয় থাকা এবং অনেক বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয়
কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব
বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায়
যমুনা তীরবর্তী ৫টি ইউনিয়নের ৩৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া স্থানীয়
পানিবন্দী বানভাসী মানুষরা এসে বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। রাস্তাঘাট
ডুবে যাওয়ায় ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাঠদান
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, বন্যা কবলিত এলাকায় ১০টি উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার পাঠদান
বন্ধ রয়েছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম
পারভেজ। তিনি বলেন, এ কারনে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত রাখা
হয়েছে। বন্যায় আশ্রয় পরিবারগুলো তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে না
যাওয়া পর্যন্ত পাঠদান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আসন্ন
পিএসসি এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার পূর্ব মূহুর্তে
বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকায় হতাশায় পড়েছেন ছাত্র-ছাত্রী ও
অভিভাবকেরা।
প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, জেলা শিক্ষা বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার ২৪০টি
প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে।
সাময়িক পরীক্ষাও স্থগিত